মানিকগঞ্জে হত্যা ও হামলার দুটি মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য এবং কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমের ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার (২২ মে) দুপুরে মানিকগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ ও আদালত-৩–এ পৃথক দুটি মামলার শুনানি শেষে এই রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
আদালত প্রাঙ্গণে মমতাজ বেগমকে নিয়ে আসার সময় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ করেন। তারা তাঁর ওপর ডিম ও জুতা নিক্ষেপ করেন এবং ‘ফাঁসি চাই’ বলে স্লোগান দেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আদালত এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
সিঙ্গাইর থানার একটি হত্যা মামলায় মমতাজ বেগমকে আদালত-১–এ হাজির করা হলে বিচারক চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অপরদিকে হরিরামপুর থানায় দায়ের করা হামলা, মারধর ও বসতবাড়ি ভাঙচুর মামলায় তাঁকে আদালত-৩–এ হাজির করা হলে আরও দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক। ফলে মোট ছয় দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে মমতাজ বেগমকে।
হত্যা মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী এবং জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজাদ হোসেন খান বলেন, “জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে আসামি মমতাজ বেগম বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে নিয়ে কটূক্তি করেছিলেন। এ কারণে মানিকগঞ্জের মানুষ ক্ষুব্ধ। তিনি অবৈধভাবে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। আমরা তাঁর সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।”
পুলিশ ও আদালত সূত্র জানায়, রাজধানীর মিরপুরে সাগর হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারের পর চার দিনের রিমান্ড শেষে মমতাজ বেগমকে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। আজ সকাল সাড়ে আটটার দিকে তাঁকে সেখান থেকে মানিকগঞ্জ আদালতে আনা হয়। সেখানেই আদালতের সামনে এই বিক্ষোভ এবং ডিম–জুতা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
এর আগে, মমতাজ বেগমের বিরুদ্ধে মানিকগঞ্জসহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা হয়েছে, যেগুলোর মধ্যে হত্যা, হামলা, মারধর এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।
মমতাজ বেগম এক সময় জনপ্রিয় বাউলশিল্পী ছিলেন। পরে তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এখন তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক ফৌজদারি মামলা বিচারাধীন রয়েছে এবং তিনি আইনত অভিযুক্ত অবস্থায় রয়েছেন।
4o