অভিযুক্ত আসামিদের নিরাপত্তা শঙ্কায় রোববার (৯ মার্চ) দিনে আদালতে হাজির করতে পারেনি পুলিশ। পরে মধ্যরাতে রিমান্ড আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে মূল অভিযুক্ত ভুক্তভোগী শিশুর বোনের শ্বশুরকে ৭ দিন, স্বামী, শাশুড়ি ও ভাশুর প্রত্যেকের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
মাগুরার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল মতিন এ আদেশ দেন।
জানা গেছে, রোববার (৯ মার্চ) রাত ১২টার পর রিমান্ড শুনানি শুরু হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামিদের সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন। তবে আসামিদের পক্ষে শুনানিতে কোনো আইনজীবী অংশ নেননি।
এ সময় আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিলে আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে রিমান্ডে না নেওয়ার দাবি করেন। প্রেক্ষিতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ভুক্তভোগী শিশু অচেতন থাকায় জবানবন্দি নেওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি। উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে মামলার মূল অভিযুক্তকে ৭ দিন এবং অন্য তিন আসামিকে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, রিমান্ডের আবেদনসহ অন্যান্য কাগজপত্র তৈরি থাকলেও গতকাল (রোববার) দিনে আসামিদের আদালতে হাজির করার ঝুঁকি নেওয়া হয়নি। কারণ দিনভর আন্দোলনকারীরা আদালতের ফটক ঘিরে রেখে আসামিদের তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি করছিলেন। এজন্য রাতে শুনানি করেছেন আদালত।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) মাগুরা শহরতলির নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় শিশুটি। মারাত্মক অসুস্থ অবস্থায় প্রথমে তাকে মাগুরা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেও তার অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি।