ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার পর ধর্মশালায় আইপিএলের পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের ম্যাচ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় আয়োজকরা। জম্মুতে মিসাইল হামলার জেরে বৃহস্পতিবার রাতে নিরাপত্তার কারণে ম্যাচ বন্ধ ঘোষণা করা হয়। স্টেডিয়াম তড়িঘড়ি করে খালি করে দেওয়া হয়, নিভিয়ে ফেলা হয় তিনটি টাওয়ারের আলো। পুরো পরিবেশ মুহূর্তেই রূপ নেয় আতঙ্কে।
ম্যাচ শুরুর আগে বৃষ্টি থাকলেও পরে টস হয় এবং ব্যাটিং নেয় পাঞ্জাব। তারা ১০.১ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে করে ১২২ রান। ঠিক তখনই ম্যাচ বন্ধের সিদ্ধান্ত আসে।
স্টেডিয়ামের সেই ভীতিকর মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করেছেন আইপিএলের এক চিয়ারলিডার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, বাউন্ডারির পাশ দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে পরিস্থিতি বর্ণনা করছেন তিনি। ভিডিওর শুরুতে স্টেডিয়ামে আলো থাকলেও কিছুক্ষণ পর তা নিভে যায় এবং পুরো স্টেডিয়াম অন্ধকারে ঢেকে যায়।
৩৭ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে চিয়ারলিডার বলেন, ‘ম্যাচের মাঝেই আমাদের সবাইকে স্টেডিয়াম ছাড়তে বলা হয়। সবাই চিৎকার করছিল “বোমা আসছে”। সত্যিই খুবই ভয়াবহ এক অভিজ্ঞতা। আমি এখনো ধর্মশালা থেকে বের হতে চাইছি, জানি না আমি কেন কাঁদছি না। হয়তো এখনো স্তব্ধ হয়ে আছি।’
এই ঘটনার পর হিমাচল প্রদেশের ধর্মশালায় রোববারের নির্ধারিত ম্যাচটিও বাতিল করা হয়েছে। ম্যাচটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে আহমেদাবাদে। শ্রেয়াস আইয়ার, লোকেশ রাহুলদের দিল্লিতে নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
বিসিসিআই ইতোমধ্যে আইপিএল অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেছে। বোর্ডের সহসভাপতি রাজীব শুক্লা জানান, ‘ধর্মশালা থেকে সবাইকে বের করে আনার জন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আপাতত ধর্মশালায় কোনো ম্যাচ আয়োজন করা হচ্ছে না।’
এই ঘটনা শুধু খেলোয়াড়, কর্মকর্তাই নয়, সাধারণ দর্শক ও কর্মীদের মাঝেও আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছে। অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। বর্তমানে আইপিএলের ভবিষ্যৎ নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।