ফরহাদ হোসেন, তাজুল ইসলাম ও মুন্নী সাহাসহ একাধিক ব্যক্তির বিদেশযাত্রায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা

News Desk

ফরহাদ হোসেন, তাজুল ইসলাম ও মুন্নী সাহাসহ একাধিক ব্যক্তির বিদেশযাত্রায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা. Dhakainlight.com

সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও একজন সাংবাদিকসহ অন্তত ১৬ জন ব্যক্তির বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন এ আদেশ দেন।

বিদেশযাত্রার নিষেধাজ্ঞা পাওয়া ব্যক্তিদের তালিকায় রয়েছেন সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও তাঁর স্ত্রী সৈয়দা মোনালিসা ইসলাম। দুদকের তথ্য অনুযায়ী, তাঁদের বিরুদ্ধে কৃষিজমি, ফ্ল্যাট-প্লট ক্রয় এবং বিপুল পরিমাণ অস্থাবর সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। তাঁরা সম্পদ হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন—এমন তথ্যের ভিত্তিতেই আদালত এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

সাবেক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম, তাঁর স্ত্রী হাসু ইসলাম, ছেলে ধানাদ ইসলাম, মেয়ে ফারাহ ইসলাম ও শামা ইসলামের বিরুদ্ধেও একই ধরনের অভিযোগ এনে বিদেশযাত্রা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দুদক অভিযোগ করেছে, তাজুল ইসলাম রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।

ফেনী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানোর নামে প্রতারণা ও বড় অঙ্কের অর্থ লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে। দুদক জানিয়েছে, তিনি বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তাই আদালত তাঁর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।

সাবেক নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ঘুষ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৫৫ হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন। বিষয়টি তদন্তাধীন থাকায় তাঁর বিদেশ যাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

সাবেক সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদারের বিরুদ্ধেও রয়েছে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ। আদালত তাঁর বিদেশযাত্রার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পাশাপাশি জাতীয় পরিচয়পত্রও অকার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছেন।

সাংবাদিক মুন্নী সাহা, তাঁর স্বামী কবির হোসেন, মা আপেল রানী সাহা, ভাই প্রণব কুমার সাহা ও তপন কুমার সাহার বিরুদ্ধেও অনিয়ম ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের অনুসন্ধান চলছে। দুদক আশঙ্কা করছে, তাঁরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে পারেন। তাই তাঁদের বিদেশযাত্রায়ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

দুদকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অনিয়ম ও দুর্নীতির গুরুতর অভিযোগ রয়েছে এবং তদন্ত কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে চালাতে এই নিষেধাজ্ঞা জরুরি ছিল। আদালতের আদেশ পাওয়ার পর বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিমানবন্দর ও ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

Footer Section