উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে শেরপুর জেলার নদ-নদীগুলোর পানি আবারও বাড়তে শুরু করেছে। এতে জেলার চারটি বড় নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এর মধ্যে চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ১২৭ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। এ অবস্থায় বন্যার আশঙ্কায় ভুগছে এলাকার সাধারণ মানুষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের শেরপুর কার্যালয় থেকে জানা যায়, সোমবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ১২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। ভোগাই ও পুরোনো ব্রহ্মপুত্র নদীর পানিও ক্রমশ বাড়ছে। এ ছাড়া ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশি ও সোমেশ্বরী নদীর পানির উচ্চতা রাত থেকেই বাড়ছে।
ভারতের মেঘালয় রাজ্যের তুরা এলাকায় টানা বৃষ্টির কারণে ঢলের পানি বাড়ছে। ফলে চেল্লাখালী, ভোগাই, মহারশি ও সোমেশ্বরী নদীর পানি সাময়িক কমলেও আবারও দ্রুতগতিতে বাড়তে শুরু করেছে।
চেল্লাখালী নদীর পাড়ঘেঁষা কচুবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা আজম আলী জানান, সকালে প্রচণ্ড বৃষ্টির পর থেকেই নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। তিনি আশঙ্কা করছেন, এভাবে পানি বাড়তে থাকলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
নালিতাবাড়ী উপজেলার বাঘবেড় ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নূরে আলম বলেন, গত রাত থেকেই পানি বাড়ছে। ঢল ও বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম জানিয়েছেন, পাহাড়ি ঢলের কারণে মহারশি ও সোমেশ্বরী নদীর পানি বেড়েছে। তবে স্থানীয়ভাবে বৃষ্টি না হলে এই পানি দ্রুত কমে যেতে পারে।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আখিনুজ্জামান বলেন, জেলার চারটি নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি চলে এসেছে। পরিস্থিতি নজরদারিতে রাখা হয়েছে। বৃষ্টিপাত না হলে পানি দ্রুত নামবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
এদিকে, চেল্লাখালী নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় আশপাশের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। নদীর পাড়ে বসবাসরত মানুষজন জরুরি প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। অনেকে নদীতে ভেসে আসা কাঠ ও লাকড়ি সংগ্রহে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।