ঢালিউড
পাঁচ দিন ধরেই টানা জ্বর। গত সপ্তাহে শুটিং করে গলার স্বরও বসে গেছে। এমন অবস্থায় নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হচ্ছে এই অভিনেতাকে। চিকিৎসক বলে দিয়েছেন, বিশ্রাম নিতে হবে। সেখানে অসুস্থতা নিয়েই বাধ্য হয়ে শুটিং করতে হচ্ছে অভিনেতা আবদুন নূর সজলকে।
বুধবার শুরু হয়েছে ‘জ্বীন-৩’ সিনেমার শেষ মুহূর্তের শুটিং। এদিকে সম্প্রতি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ঘোষণা দিয়েছে, সিনেমাটি আসছে ঈদে মুক্তি পাবে। যে কারণে পূর্বনির্ধারিত সময়ের শিডিউলে শুটিং করতে হচ্ছে সজলকে। এই অভিনেতা বলেন, ‘সর্বশেষ শুটিংয়ে দৃশ্যের প্রয়োজনে উচ্চ স্বরে কথা বলতে হয়েছে। এ জন্য ছয় দিন আগে প্রথম গলা ভাঙে। এখন ইনফেকশন হয়ে গেছে। ঠিকমতো কথা বলতে পারছি না। পরে চার দিন ধরে জ্বরে কাহিল।’
এ সময় সজল আরও বলেন, ‘আগে থেকেই শিডিউল দেওয়া ছিল। এই সময়ে শুটিং করতে না পারলে সিনেমাটি ঈদে মুক্তি দেওয়া কঠিন হয়ে যাবে। যে কারণে ১০১ ডিগ্রি জ্বর নিয়েই শুটিংয়ে এসেছি। গতকালও টানা ১০২ ও ১০৩ জ্বর ছিল। চিকিৎসক বলেই দিয়েছেন, এ মুহূর্তে বের হওয়া যাবে না। কিন্তু উপায় নেই। শুটিং ইউনিট থেকে আমাকে সব রকম সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে। রেস্ট নিয়ে নিয়েই শুটিং করছি। এমন পরিস্থিতির মধ্যে সব সময় তো পড়তে হয় না। কিছু করার নেই। সিনেমাটি ঈদে আসবে, যে কারণে তাড়াহুড়া রয়েছে।’
এর আগে ‘জ্বীন’ সিনেমার প্রথম কিস্তিতে দেখা গেলেও দ্বিতীয় কিস্তিতে ছিলেন না সজল। এবার তিনি যুক্ত হলেন তৃতীয় কিস্তিতে। প্রথম কিস্তিতে প্রশংসিত হয়েছিলেন এই অভিনেতা। তিনি জানান, এবার ‘জ্বীন-৩’ সিনেমার চরিত্রটি নিয়ে আরও সচেতন তিনি। এক মাসের বেশি সময় ধরে প্রি-প্রোডাকশনে সময় দিয়েছেন। নিয়মিত অনুশীলনে অংশ নিয়েছেন। নিজেকে পুরো ফিট করেই শুটিংয়ে নেমেছেন তিনি।
সজল বলেন, ‘আমার ক্যারিয়ারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে “জ্বীন” সিনেমা। সবচেয়ে বেশি প্রশংসা পেয়েছি সিনেমাটি থেকে। সিনেমাটি ভালো ব্যবসাও করেছিল। এবার “জ্বীন ৩” নিয়ে যুদ্ধ হবে আমার নিজের সঙ্গেই; নিজেকে কতটা ছাড়িয়ে যেতে পারব, সেই চাপ টের পাচ্ছি। এটা আমার জন্য চ্যালেঞ্জিং। কারণ, আমি আরও ভালো করতে চাই।’ জানা গেল, বাগেরহাট ষাটগম্বুজ এলাকায় এখন সিনেমার শুটিং চলছে। টানা পাঁচ দিন চলবে শুটিং। গান দিয়েই শেষ হবে শুটিং।