রাজধানীর উত্তরায় ট্রেনের ধাক্কায় কে এম মনসুর আলী (৪০) নামে এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। তবে ঘটনাটিকে নিছক দুর্ঘটনা হিসেবে না দেখে হত্যার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে নিহতের পরিবার।
মনসুর আলী দক্ষিণখান থানায় উপপরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। শনিবার রাতে উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টর এলাকায় পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন তিনি। পরে তাঁকে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
রেলওয়ে পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, ঘটনাটি একটি সড়ক–রেল দুর্ঘটনা হলেও পরিবারের বক্তব্যে বিষয়টি ঘোলাটে হয়ে উঠেছে। মনসুরের চাচাতো ভাই সাকিবুল ইসলাম জানান, ঘটনার রাতে মনসুর অফিস শেষে মোটরসাইকেল নিয়ে বাসায় ফেরার কথা ছিল। তবে মোটরসাইকেলটি উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরের ১০ নম্বর রোডে রেখে তাঁকে রেললাইনের দিকে হেঁটে যেতে দেখা যায়, সে সময় তিনি মোবাইলে কারও সঙ্গে কথা বলছিলেন। এতে সন্দেহ তৈরি হয়েছে যে কেউ তাঁকে পরিকল্পিতভাবে ডেকে নিয়ে গেছে।
সাকিবুল আরও বলেন, “মনসুরের মাথায় যেভাবে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে, তাতে ট্রেনের ধাক্কায় এমন ক্ষত হওয়া স্বাভাবিক নয়। ধারালো কোনো অস্ত্রের আঘাত বলে আমাদের মনে হচ্ছে।”
এদিকে, বিমানবন্দর রেলওয়ে ফাঁড়ির এসআই মোহাম্মদ আলী জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য আজ রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানান তিনি।
নিহত মনসুর আলীর বাড়ি পাবনার আমিনপুরে। তিনি পরিবারসহ রাজধানীর পল্লবী এলাকায় বসবাস করতেন। তাঁর এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। তবে পরিবারের সন্দেহ এবং ময়নাতদন্তের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে তদন্তের দিক নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনাটি দুর্ঘটনা নাকি পূর্বপরিকল্পিত কিছু, তা নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।