আওয়ামী লীগের দোসরদের বাদ দিয়ে নতুন কমিটির দাবিতে রাজশাহীতে বিএনপির একাংশের মানববন্ধন

News Desk

আওয়ামী লীগের দোসরদের বাদ দিয়ে নতুন কমিটির দাবিতে রাজশাহীতে বিএনপির একাংশের মানববন্ধন. Dhakainlight.com

রাজশাহী মহানগর বিএনপির বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছে দলের একাংশ। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরের সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে বড় জমায়েতে তারা মানববন্ধন করে। মানববন্ধন থেকে আওয়ামী লীগের দোসরদের বাদ দিয়ে ত্যাগী নেতা-কর্মীদের দিয়ে মহানগর, থানা ও ওয়ার্ড কমিটি গঠনের দাবি জানানো হয়।

বৃষ্টি উপেক্ষা করে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে চলা এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন নগরের বোয়ালিয়া, রাজপাড়া, মতিহার ও শাহ মখদুম থানা বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সাবেক নেতারা। তারা অভিযোগ করেন, বর্তমান আহ্বায়ক কমিটি দলের মূল নেতৃত্বের সঙ্গে সমন্বয়হীনভাবে একক সিদ্ধান্তে বিতর্কিত ব্যক্তিদের দিয়ে থানা ও ওয়ার্ড কমিটি গঠন করছে।

মানববন্ধনে নগর যুবদলের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, “আমরা তারেক রহমানের নেতৃত্বে ছিলাম, আছি এবং থাকব। যারা অতীতে খালেদা জিয়ার বিরোধিতা করেছে, আজ তারা বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছে। যারা দিনে বিএনপি আর রাতে আওয়ামী লীগ করে, তাদের দিয়ে সংগঠন চলবে না। অবিলম্বে এই অযোগ্য ও দোসরদের কমিটি বাতিল করতে হবে।”

বোয়ালিয়া থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাইদুর রহমান বলেন, “যারা ১৭ বছর রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রামে ছিল না, তাদের দিয়ে দল চালানো যায় না। তারা বিতর্কিত, জনগণ বিএনপি মানে মিনু, মিলন, বুলবুলকে বোঝে—তাদের নয়।”

বক্তারা দাবি করেন, পুরোনো কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ২০২১ সালের ডিসেম্বরে কেন্দ্র থেকে নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে অনেক পরীক্ষিত ও জনপ্রিয় নেতা বাদ পড়েন। বর্তমানে এ কমিটি বিভিন্ন থানায় যে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করছে, তাতেও ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে বিতর্কিত ব্যক্তিদের ঠাঁই দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে বর্তমান মহানগর আহ্বায়ক এরশাদ আলী বলেন, “আমরা কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী সংগঠন পরিচালনা করছি। কারা আওয়ামী লীগের লোক—তারা ধরিয়ে দিলে আমরা ব্যবস্থা নেব। কমিটি উন্মুক্তভাবে দেওয়া হয়েছে। ষড়যন্ত্র করে কেউ দলের ভিতরে বিভাজন সৃষ্টি করলে তা মেনে নেওয়া হবে না।”

তিনি আরও বলেন, “কমিটির বিরোধিতা করে যে সব কর্মসূচি চলছে, সেগুলো দুঃখজনক। আমাদের লক্ষ্য ছিল সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ করা, কিন্তু কয়েকজন ব্যক্তি স্বার্থের জন্য দলকে বিভক্ত করছে।”

রাজশাহীর রাজনীতিতে এই অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব বিএনপির সংগঠন ও মাঠপর্যায়ের কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে বলে মনে করছেন স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হস্তক্ষেপ ছাড়া এই বিরোধ সহজে নিরসন হবে না বলেও আশঙ্কা করছেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।

Leave a Comment

Footer Section