শুক্রবার সুইজারল্যান্ডের বাসেলে অনুষ্ঠিত ৬৯তম ইউরোভিশন সঙ্গীত প্রতিযোগিতার মালিকানা এল অস্ট্রিয়ায়। ‘জে জে’ মঞ্চ নামের অস্ট্রিয়াল-ফিলিপিনো সংগীতশিল্পী তাঁর অপেরাটিক পপ ধারা ‘ওয়েস্টেড লাভ’ পরিবেশনের জন্য শীর্ষস্থানে নির্বাচিত হন। এর আগে অস্ট্রিয়া ২০১৪ সালে কনচিতা ওয়ার্স্টের ‘রাইজ বাইর্ড অব দ্য ফায়ারফ্লাই’–এর জন্য জয়ী হয়েছিল।
প্রথমে ২৬টি দেশভিত্তিক প্রতিযোগিতা ও দর্শকের ভোটের সঙ্গে দেশগুলোর জুরি ভোট নিয়ে চূড়ান্ত ফলাফল নির্ধারণ হয়। রানার-আপ হন ইসরায়েলের ইউভাল রাফায়েল, যিনি ২০২৩ সালের হামাসের আক্রমণে বেঁচে যাওয়া হিসেবে আলোচিত, তাঁর গান ‘নিউ ডে উইল রাইজ’–এর জন্য। তৃতীয় স্থানে উঠে আসে এস্তোনিয়া, আর সর্বনিম্ন স্কোর পায় সান মারিনো।
জয়ে ‘আমি খুবই অভিভূত ও সম্মানিত বোধ করছি’, বলেন জে জে। তিনি বলেন, ‘একটি কঠিন বছর ছিল, এবং এই গানটি আমার নিজের ব্যর্থ, পাড়া-পাড়া ভালোবাসার অনুভূতি থেকে তৈরি। যদি আমি জিতি, আমাকে হয়তো ছলছল কন্ঠে ফোন করে পরিবারের সামনে কাঁদতেই হতে পারে।’
ইউরোভিশন ফাইনালটি ইউরোপের এলজিবিটি+ সম্প্রদায়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে পরিণত হয়েছে, যেখানে লাটভিয়ার ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক পপ ব্যান্ড থেকে শুরু করে ইউক্রেনের গ্ল্যাম রক, এস্তোনিয়ার গ্যাগাত্মক কনসেপ্ট আর আলবেনিয়ায় ভূতাত্মক ডুয়ো—সবধরনের শিল্পী মঞ্চে উঠে আন্তর্জাতিক দর্শককে মুগ্ধ করেন।

২০১৩ সালে সুইজারল্যান্ডের হয়ে ইউরোভিশন জয়ী সেলিন ডিয়নের একটি সম্মানসূচক আবির্ভাবের গুঞ্জন ছিল, কিন্তু সেটি বাস্তবে হয়নি।
রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটেও ইউরোভিশন বিতর্কময়: রাশিয়া ও বেলারুশ নিষিদ্ধ, ইসরায়েলের অংশগ্রহণ বাধাগ্রস্ত। ইউভাল রাফায়েলের মঞ্চে ফিলিস্তিনপন্থী পতাকা দেখা গেলেও, ইউরোপীয় ব্রডকাস্টিং ইউনিয়নের নতুন নিয়মে তা অনুমোদিত ছিল। তার একদম শেষে যে দু’জন মঞ্চে ধাওয়া করে, একটি টিমমেম্বারের ওপর রঙ নিক্ষেপ করে, তবে কেউ গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হননি বলে জানা গেছে।
ইউরোভিশনের গ্র্যান্ড ফাইনাল প্রতি বছর মাউস-এ স্ট্রিমিংয়ে দেখা যায় এবং এইচবিও-র মতো বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চ্যানেলে সম্প্রচারিত হয়।