শ্রীপুরে শ্রমিক মারধর ও চাঁদাবাজির অভিযোগে দুই ঘণ্টা সড়ক অবরোধ, পুলিশের আশ্বাসে প্রত্যাহার

News Desk

শ্রীপুরে শ্রমিক মারধর ও চাঁদাবাজির অভিযোগে দুই ঘণ্টা সড়ক অবরোধ, পুলিশের আশ্বাসে প্রত্যাহার. Dhakainlight.com

গাজীপুরের শ্রীপুরে পরিবহনশ্রমিকদের মারধর ও চাঁদাবাজির অভিযোগে দুই ঘণ্টা ধরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছিলেন প্রভাতী বনশ্রী পরিবহনের শ্রমিকরা। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত উপজেলার জৈনাবাজার এলাকায় এ অবরোধ চলে। এতে মহাসড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে পুলিশের আশ্বাসে শ্রমিকরা অবরোধ প্রত্যাহার করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে পরিবহনশ্রমিকরা কয়েকটি বাস আড়াআড়িভাবে মহাসড়কে রেখে যান চলাচল বন্ধ করে দেন। শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, গতকাল রোববার রাতে জৈনাবাজার এলাকায় পার্কিং করা অবস্থায় তাদের দুই সহকর্মীকে মারধর করেন স্থানীয় মো. ফাহিম ও তাঁর সঙ্গে থাকা কয়েকজন। তারা চাঁদার দাবিতে শ্রমিকদের উপর হামলা চালায় এবং একটি বাসও ভাঙচুর করে।

প্রভাতী বনশ্রীর শ্রমিক মো. খোকন বলেন, “ফাহিম নামে এক ব্যক্তি এসে চাঁদা দাবি করে এবং না দেওয়ায় আমাদের দুই শ্রমিককে মারধর করে। আমরা এই ঘটনার বিচার চেয়ে সড়কে অবস্থান নিয়েছিলাম। শ্রীপুর থানা-পুলিশ আমাদের আশ্বস্ত করেছে যে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তাই আমরা অবরোধ তুলে নিয়েছি।”

আরেক শ্রমিক মো. মোজাম্মেল হক বলেন, “এর আগেও কয়েকবার আমাদের শ্রমিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনার বিচার না হওয়ায় অপরাধীরা বারবার সাহস পাচ্ছে। আমরা নিরপত্তা চাই, শাস্তি চাই।”

অভিযুক্ত মো. ফাহিম অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি কাউকে মারধর করিনি বা চাঁদা চাইনি। বরং আমার ভাতিজাকে শ্রমিকরা মারধর করেছে। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে কারণ জানতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পরদিন তারা উল্টো আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সড়ক অবরোধ করেছে।”

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল বারিক বলেন, “সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শ্রমিকদের অভিযোগ আমলে নিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে তাঁরা অবরোধ প্রত্যাহার করেন। সকাল ৯টার পর থেকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।”

ঘটনার পর এলাকাবাসী ও যাত্রীদের মধ্যে চরম ভোগান্তি সৃষ্টি হলেও শ্রমিকদের শান্তিপূর্ণভাবে সড়ক ছাড়ায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। তবে সংশ্লিষ্ট ঘটনায় তদন্ত ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

Footer Section