পবিত্র ঈদুল আজহায় ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন ও স্বস্তিদায়ক করতে ঘোষিত সরকারি ছুটির পুনর্বিন্যাসের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সংগঠনটি ১১ ও ১২ জুনের ছুটি এগিয়ে এনে ৩ ও ৪ জুনে পুনর্বিন্যাস করার আহ্বান জানিয়েছে।
আজ মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি তুলে ধরে সংগঠনটি। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এবারের ঈদ ৬ বা ৭ জুন হলে ঈদের আগে কর্মজীবীদের ছুটি মাত্র এক বা দুই দিন। অথচ ঈদের সময় রাজধানী থেকে প্রায় দেড় কোটি মানুষ গ্রামের পথে যাত্রা করে থাকেন। এত স্বল্প সময়ে এই বিশাল জনগোষ্ঠীর নির্বিঘ্নে যাতায়াত করা অসম্ভব, ফলে চরম ভোগান্তির আশঙ্কা রয়েছে।
সংগঠনের মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, “গত ঈদুল ফিতরে জনগণ স্বস্তিতে যাতায়াত করতে পেরেছিল। কারণ ঈদের আগে পর্যাপ্ত ছুটি ছিল। এবারের ঈদে পরবর্তী সময় দীর্ঘ ছুটি থাকলেও ঈদের আগে ছুটি কম, যা মানুষের ঈদযাত্রায় বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে।”
তিনি জানান, ঈদের পরের ছুটি এগিয়ে এনে ঈদের আগেই তা দিলে কর্মজীবীরা স্বাচ্ছন্দ্যে বাড়ি ফিরতে পারবেন। যদিও বিষয়টি নিয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলে আগেই প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে, তবে এখনো কোনো ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি।
সংবাদ সম্মেলনে যাত্রী কল্যাণ সমিতি ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ১১ দফা দাবি তুলে ধরে। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—ফিটনেসবিহীন লক্কড়ঝক্কড় বাস ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ করা, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় রোধে কঠোর নজরদারি, সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ, পশুবাহী ট্রাকের কারণে সৃষ্ট যানজট নিরসনে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং মহাসড়কে ডাকাতি ও ছিনতাই ঠেকাতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো।
সংগঠনের মতে, সরকারের এই ছোট্ট পদক্ষেপই দেশের কোটি মানুষের ঈদযাত্রাকে স্বস্তিকর করতে পারে। তাই ঈদের ছুটি পুনর্বিন্যাসের বিষয়টি দ্রুত বিবেচনায় নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।