ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। আজ সোমবার সকালে উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খানের কাছে এই প্রতিবেদন আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়।
প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন কমিটির আহ্বায়ক কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, এবং কমিটির সদস্যসচিব ও সহকারী প্রক্টর শারমীন কবীর।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, এই প্রতিবেদন প্রণয়নে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছে এবং এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালার ভিত্তিতে পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
১৩ মে দিবাগত রাতে শাহরিয়ার আলম সাম্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতরে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নিহত হন। তিনি শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের স্নাতকোত্তর শ্রেণির ছাত্র এবং স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। তার হত্যাকাণ্ড ঘিরে ঢাবি ক্যাম্পাসে ব্যাপক ক্ষোভ ও প্রতিবাদ গড়ে ওঠে।
ঘটনার পর ১৪ মে উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান একটি সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন, যার আহ্বায়ক করা হয় অধ্যাপক মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খানকে। পরবর্তীতে ব্যারিস্টার নুরুল আজিমকে কমিটিতে কো-অপ্ট করা হয়।
কমিটির অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ ইকরামুল হক, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক তৈয়েবুর রহমান, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. সিরাজুল ইসলাম, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক মো. আবুল কালাম সরকার এবং ডেপুটি রেজিস্ট্রার (তদন্ত) আইয়ুব আলী।
প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী এখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানা গেছে। তবে এই ঘটনায় এখনো অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি অব্যাহত রয়েছে। ছাত্রদলের পক্ষ থেকেও এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চেয়ে ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আশা করছেন, তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনার পর প্রশাসন দোষীদের চিহ্নিত করে যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করবে, যাতে ভবিষ্যতে এমন মর্মান্তিক ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।