জাতীয় ঐকমত্যে অগ্রগতি ও মতপার্থক্য—সবই জানানো হবে: অধ্যাপক আলী রীয়াজ

News Desk

জাতীয় ঐকমত্যে অগ্রগতি ও মতপার্থক্য—সবই জানানো হবে: অধ্যাপক আলী রীয়াজ. Dhakainlight.com

রাজনৈতিক সংস্কার ও জাতীয় ঐকমত্য গঠনের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ চালিয়ে যাচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আজ রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এক আলোচনায় কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, যেসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য হয়েছে, তা যেমন প্রকাশ করা হবে, তেমনি যেসব বিষয়ে এখনো ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা সম্ভব হয়নি, সেগুলোও জানানো হবে।

আলী রীয়াজ বলেন, স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ও জনগণকে ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। রাজনৈতিক মতাদর্শগত পার্থক্যের কারণে সব বিষয়ে একমত হওয়া সম্ভব নয়, এটিই বাস্তবতা। তবে যতটুকু অগ্রগতি হয়েছে, তা সামনে আনা হবে।

আলোচনায় উঠে আসে, ৩৩টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রাথমিক পর্যায়ে সংলাপ হয়েছে। কোনো কোনো বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে মৌলিক ঐকমত্য তৈরি হয়েছে, আবার কিছু বিষয়ে দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য রয়ে গেছে। এ প্রেক্ষাপটে সুশীল সমাজের অংশগ্রহণকেও সমান গুরুত্ব দিচ্ছে কমিশন।

সাংবাদিক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের উদ্দেশে আলী রীয়াজ বলেন, আমরা এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছি। সম্ভাবনা যেমন তৈরি হয়েছে, তেমনি সেই সম্ভাবনার বাস্তবায়নে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জও রয়েছে। এই পরিবর্তনের প্রক্রিয়ায় নাগরিক সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া জাতীয় ঐকমত্য বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ইফতেখারুজ্জামান, আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। সুশীল সমাজের পক্ষে অংশ নেন বিচারপতি আবদুল মতিন, মেজর জেনারেল (অব.) আ ন ম মুনীরুজ্জামান, রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির, অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, অধ্যাপক সামিনা লুৎফা, অধ্যাপক ওয়ারেসুল করিম, গবেষক মির্জা এম হাসান, ইলিরা দেওয়ান, আশরাফুন নাহার মিষ্টি, বাসুদেব ধর ও মানবাধিকারকর্মী সুলতানা রাজিয়া।

সব মিলিয়ে সংলাপে আশা ও বাস্তবতার নির্যাসে উঠে এসেছে একবাক্যে এই বার্তা—যেখানে একমত হওয়া গেছে, তা ঘোষণা করা হবে, আর যেখানে যায়নি, তাও জনগণ জানবে।

Leave a Comment

Footer Section