মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের মামলায় নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়াকে চার বছরের কারাদণ্ড এবং পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে আদালত। আজ রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮-এর বিচারক মঞ্জুরুল হোসেন এই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় পাপিয়া পলাতক থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
পাপিয়ার আইনজীবী সাখাওয়াত উল্লাহ ভূঁইয়া জানিয়েছেন, একই মামলায় খালাস পেয়েছেন পাপিয়ার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী এবং তিন সহযোগী—সাব্বির খন্দকার, শেখ তাইবা নূর ও জুবায়ের আলম।
এর আগে ২০২০ সালের ১২ অক্টোবর অস্ত্র আইনের মামলায় পাপিয়া ও তাঁর স্বামীকে সর্বোচ্চ ২০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত। ২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সময় ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে র্যাব তাদের গ্রেপ্তার করে। এরপর যুব মহিলা লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয় পাপিয়াকে।
র্যাবের অভিযানে রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলের বিলাসবহুল স্যুট এবং ইন্দিরা রোডের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয় বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, ২০ রাউন্ড গুলি, ৫ বোতল বিদেশি মদ, নগদ ৫৮ লাখ টাকা, পাঁচটি পাসপোর্ট, তিনটি চেক, কিছু বিদেশি মুদ্রা ও এটিএম কার্ড।
র্যাব আরও জানায়, পাপিয়া ও তাঁর স্বামীর নামে রাজধানীর ইন্দিরা রোডে দুটি ফ্ল্যাট, নরসিংদীতে আরও দুটি ফ্ল্যাট, দুটি দামী প্লট, একটি গাড়ির শোরুমে ১ কোটি টাকার বিনিয়োগ এবং একটি কার ওয়াশ অ্যান্ড অটো সলিউশনে ৪০ লাখ টাকার বিনিয়োগ ছিল।
এসব অনুসন্ধান ও প্রমাণের ভিত্তিতে র্যাব বিশেষ ক্ষমতা ও অস্ত্র আইনে মামলা করে। পরবর্তীতে সিআইডির তদন্তে ৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য মেলায় মানি লন্ডারিং আইনে আরেকটি মামলা হয়।
গত বছর জুনে জামিনে মুক্তি পান পাপিয়া, তবে আজকের রায়ের মাধ্যমে তিনি ফের আইনের আওতায় এলেন।