সিলেটের বিয়ানীবাজার এবং মৌলভীবাজারের বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে মোট ১৫৩ জন বাংলাদেশি নারী, পুরুষ ও শিশুকে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। গতকাল শনিবার গভীর রাত থেকে আজ রোববার সকাল পর্যন্ত সময়ে এসব ঘটনা ঘটে।
বড়লেখার শাহবাজপুর চা-বাগান ও লাতু সীমান্তে ১২১ জনকে এবং বিয়ানীবাজারের নয়াগ্রাম এলাকার একটি বিল থেকে ৩২ জনকে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বিজিবি জানিয়েছে, ঠেলে দেওয়া ব্যক্তিরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক এবং তাঁদের মধ্যে অধিকাংশের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলায়।
৫২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী হাসান জানান, আটক ১২১ জনের বেশিরভাগই কুড়িগ্রামের বাসিন্দা হলেও দু–একজনের বাড়ি কুমিল্লা ও খুলনায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে এবং স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের কাছে তাঁদের হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছে।
অন্যদিকে, নয়াগ্রাম সীমান্তে আটক ৩২ জনের মধ্যে ২৩ জন নারী ও শিশু রয়েছেন। বিজিবির তথ্য অনুযায়ী, এরা সবাই দীর্ঘদিন ধরে ভারতে অবস্থান করছিলেন এবং ইটভাটা, গৃহস্থালি কাজ ও রংমিস্ত্রির কাজ করতেন। তাঁদের কেউ কেউ এক থেকে দশ বছর পর্যন্ত ভারতে ছিলেন।
বিজিবির অভিযানে নয়াগ্রাম এলাকার একটি বিল থেকে তাঁদের আটক করা হয়। পরে তাঁদের একটি বিদ্যালয়ে রাখা হয় এবং বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের পর বিয়ানীবাজার থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তরের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। গত ১২ দিনে সিলেট সীমান্ত দিয়ে এ নিয়ে মোট ৬৯ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ।
বিজিবির ভাষ্যমতে, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে অবৈধভাবে কাজ করতে যাওয়া বাংলাদেশি নাগরিকদের বিএসএফ সীমান্তে এনে একসঙ্গে জড়ো করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক প্রোটোকল লঙ্ঘনের শামিল বলে অভ্যন্তরীণ সূত্র থেকে জানা গেছে। সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে এর ফলে জনমনে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।