ভারতের বিনোদনজগতে কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে আপত্তিকর প্রস্তাব বা ‘কাস্টিং কাউচ’ নতুন কোনো বিষয় নয়। অনেক অভিনেত্রী তাঁদের ক্যারিয়ারের শুরুর দিকের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা ইতিমধ্যে শেয়ার করেছেন। এবার সেই তালিকায় নাম লেখালেন অভিনেত্রী সায়ামি খের।
সম্প্রতি বলিউড বাবলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সায়ামি খের জানান, মাত্র ১৯ বছর বয়সে তাঁকে একটি তেলেগু সিনেমার কাজের জন্য আপত্তিকর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতা এখনো তাঁর মনে গভীর ক্ষত তৈরি করে রেখেছে।
সায়ামি বলেন, “আমার বয়স তখন ১৯ বা ২০। একবার এক এজেন্ট আমাকে তেলেগু ছবির জন্য ডেকেছিলেন। তিনি তখন বলেন, ‘তুমি জানো, তোমাকে সমঝোতা করতে হবে।’ কথাটা শোনার পর আমি বিভ্রান্ত হয়ে যাই। তাঁকে বারবার বলছিলাম, আপনি কী বলতে চাইছেন, আমি বুঝতে পারছি না। তিনি আবার বলেন, ‘দেখো, তোমাকে বুঝতে হবে।’ আমি তখন সরাসরি জানিয়ে দিই, আপনি ভুল ভেবেছেন আমাকে। আমি এমন পথে হাঁটি না।”
অভিনেত্রীর ভাষ্য অনুযায়ী, প্রস্তাবটি এসেছিল এক নারী এজেন্টের কাছ থেকে, যা তাঁকে আরও বেশি ধাক্কা দিয়েছিল। তিনি বলেন, “একজন নারী হয়ে অন্য একজন নারীর কাছে এ ধরনের প্রস্তাব আশা করিনি। এটা আমাকে খুব ভাবিয়ে তুলেছিল।”
সায়ামি খের বলিউডে পা রাখেন রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরার পরিচালিত ‘মির্জা’ ছবির মাধ্যমে। সেখানে তাঁর বিপরীতে ছিলেন অনিল কাপুরের ছেলে হর্ষবর্ধন কাপুর। যদিও ছবিটি বক্স অফিসে সাফল্য পায়নি, তবে সায়ামির অভিনয় প্রশংসা কুড়ায়।
‘চোকেড’, ‘ঝুমার’-এর মতো চলচ্চিত্রে অভিনয় করে নিজের অবস্থান গড়ে তুলেছেন সায়ামি। কাজের সুযোগ পাওয়ার ক্ষেত্রে কঠিন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যেতে হলেও তিনি তাঁর নিজের মূল্যবোধের সঙ্গে কখনো আপস করেননি—এ কথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি এই সাক্ষাৎকারে।
সায়ামির এই বক্তব্য বর্তমান বিনোদনজগতে নারীদের প্রতি সম্মান, নিরাপত্তা এবং পেশাদার আচরণ নিশ্চিত করার দাবি আরও জোরালোভাবে তুলে ধরছে।