অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়ার গ্রেপ্তার নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, “এখন তাঁর নামে যদি কেস থাকে, আপনি কী করবেন?… ছেড়ে দিলে আবার আপনি কিন্তু বলবেন স্যার আপনি ছেড়ে দিছেন…”
আজ সোমবার (১৯ মে) দুপুরে সচিবালয়ে ঈদুল আজহা উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে গতকাল রোববার ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাজধানীর ভাটারা থানায় দায়ের করা একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় তাঁকে আজ আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে আজ সোমবার সকালে সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী একটি ফেসবুক পোস্ট দিয়ে গ্রেপ্তারের ঘটনাকে সমালোচনা করেন। সাংবাদিকরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা কী বলেছেন, তা আমি জানি না। এটা যাঁর ব্যক্তিগত মত। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সবার আছে।”
আরেক প্রশ্নে সাংবাদিকেরা জানতে চান, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান’–সংক্রান্ত মামলায় অভিযুক্তদের বিচারের বিষয়ে সরকার কঠোর অবস্থানে থাকলেও, যদি কেউ মনে করে এতে নিরীহ কেউ হয়রানির শিকার হচ্ছে, সে ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে?
জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “আমরা বারবার বলছি, কেউ যেন অহেতুক ভোগান্তির শিকার না হয়। আমরা চাই শুধু প্রকৃত দুষ্কৃতকারীরা আইনের আওতায় আসুক এবং শাস্তি পায়। কোনো নিরীহ ব্যক্তি যেন কোনো অবস্থাতেই শাস্তি না পায়, সেই নিশ্চয়তা আমরা দেব।”
নুসরাত ফারিয়ার চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাত্রাকালে গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এখন তাঁর নামে যদি কেস থাকে, আপনি কী করবেন? গ্রেপ্তার না করলে আবার আপনারাই বলবেন, ছেড়ে দিচ্ছে কেন? আমরা তো আইনের বাইরে কিছু করি না।”
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও জানান, নুসরাত ফারিয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত এখনো শেষ হয়নি। তাই তদন্তের ফলাফল না আসা পর্যন্ত কিছু বলা সম্ভব নয়। আইন অনুযায়ী যা করা দরকার, তাই করা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভাটারা থানায় দায়ের হওয়া মামলাটি একটি গুরুতর অভিযোগের ভিত্তিতে করা হয়েছে এবং তদন্ত চলমান থাকায় মামলার বিস্তারিত এখনই প্রকাশ করা হয়নি।
এদিকে গ্রেপ্তারের পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। অনেকেই ফারিয়ার চিকিৎসার উদ্দেশ্যে বিদেশে যাওয়া এবং গ্রেপ্তারের সময়সন্ধি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তবে সরকার বলছে, আইনের বাইরে কোনো কিছু করা হয়নি।
ঘটনার যথাযথ তদন্তের পর প্রকৃত তথ্য প্রকাশ করা হবে বলেও আশ্বস্ত করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
4o
