টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা সদরের কুমুদিনী হাসপাতাল ঘাটে পদচারী সেতুর দাবিতে সরব হয়েছেন অন্তত ৩৫টি গ্রামের মানুষ। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁরা সভা-সমাবেশ করে দাবি জানিয়ে আসছেন। আজ বুধবার ঘাটে ব্যানার টানিয়ে আবারও তাঁদের দাবির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এলাকাবাসী জানান, বর্ষায় নৌকা ও শুষ্ক মৌসুমে বাঁশের সাঁকোর ওপর নির্ভর করেই তাঁদের চলাফেরা করতে হয়। তবে ৩ মে সাঁকোটি উজান থেকে আসা পানির স্রোত ও কচুরিপানার চাপে ভেসে যায়। এতে কয়েক দিন পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে যোগাযোগ। বর্তমানে সাঁকোটি অস্থায়ীভাবে মেরামত করা হয়েছে, তবে ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে।
এই সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন কুমুদিনী হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ, নার্সিং কলেজ ও ভারতেশ্বরী হোমসের শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করেন। ঘাটে সেতু না থাকায় ভোগান্তি বাড়ছে। কেউ কেউ তিন কিলোমিটার ঘুরে বিকল্প সেতু ব্যবহার করে কর্মস্থলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।
এলাকার একজন গৃহিণী নাজমা বেগম বলেন, “বয়স হয়েছে, এখন এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে হাঁটতে কষ্ট হয়। যদি একটা পাকা সেতু থাকত, তাহলে অনেক ভালো হতো।”
এ বিষয়ে মির্জাপুর উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম জানান, “ঘাটটি কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের রাস্তার সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় সেতু নির্মাণের জন্য তাঁদের অনুমতি লাগবে।”
কুমুদিনী হাসপাতালের পরিচালক প্রদীপ কুমার রায় বলেন, “প্রায় ২০ বছর আগে এক দুঃখজনক দুর্ঘটনার কারণে রাস্তায় যান চলাচল সীমিত করা হয়। তবে এলাকাবাসীর দাবির আলোকে পদচারী সেতু নির্মিত হলে সেটি সবার জন্যই ভালো হবে।”