দুই পক্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য রাজশাহী নার্সিং কলেজ বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। আজ বুধবার দুপুর ১২টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীরা সেই নির্দেশ মানতে অস্বীকৃতি জানিয়ে ক্যাম্পাসেই অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
কলেজ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে অধ্যক্ষ মতিয়ারা খাতুন স্বাক্ষরিত এক নোটিশে বলা হয়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতেই কলেজ বন্ধ ঘোষণা এবং হলত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হামলার শিকার হয়েও এখন উল্টো তাঁদের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার বিএসসি নার্সিং (বেসিক) এবং ডিপ্লোমা (সিনিয়র স্টাফ নার্স) শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এই দুই পক্ষ দীর্ঘদিন ধরে বিএর সমমান নিয়ে ভিন্নমত প্রকাশ করে আসছিল। সংঘর্ষে অন্তত ২৫ থেকে ৩০ জন শিক্ষার্থী আহত হন, এর মধ্যে ৬ জন গুরুতর। অভিযোগ রয়েছে, বহিরাগত ইন্টার্ন ও ডিপ্লোমা নার্সরা ক্যাম্পাসে ঢুকে বিএসসি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় এবং এমনকি হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার সময়ও তাঁদের উপর হামলা হয়।
বিএসসি নার্সিং শিক্ষার্থীদের দাবি, প্রকৃত হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে বরং তাঁদেরকেই হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যা অযৌক্তিক। অনেকে বলছেন, হঠাৎ করে হল ছাড়ার নির্দেশে দূর থেকে আসা শিক্ষার্থীরা চরম বিপাকে পড়েছেন।
রাজশাহী নার্সিং কলেজের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের সভাপতি মো. জহিরুল ইসলাম খান জানিয়েছেন, যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা অনশন কর্মসূচিতে যাবেন।
শিক্ষার্থীদের দাবি—তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক, হামলাকারীদের বিচার হোক, এবং অনির্দিষ্টকালের কলেজ বন্ধের আদেশ প্রত্যাহার করা হোক। কলেজ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জোরালো হচ্ছে। এখন দেখার বিষয়, সংকট নিরসনে প্রশাসন কী পদক্ষেপ নেয়।
4o