২০২৫ সালের ৭ মে রাতে ভারতের চালানো ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর অংশ হিসেবে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুরিদকে শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। ভারত দাবি করেছে, তারা লস্কর-ই-তইয়্যেবা (LeT) ও জইশ-ই-মোহাম্মদ (JeM) সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ।Wikipedia
তবে পাকিস্তান জানিয়েছে, হামলায় অন্তত ৩১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে শিশু ও সরকারি কর্মচারী রয়েছেন । মুরিদকে শহরের ‘গভর্নমেন্ট হেলথ অ্যান্ড এডুকেশনাল কমপ্লেক্স’ নামক একটি প্রশাসনিক ভবন, যেখানে একটি হাসপাতাল, দুটি স্কুল, একটি হোস্টেল ও একটি বড় মাদ্রাসা রয়েছে, তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া, একটি মসজিদেও আঘাত হেনেছে ক্ষেপণাস্ত্র ।
ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি জোর দিয়ে বলেছেন, তারা কেবল সন্ত্রাসবাদী স্থাপনা নিশানা বানিয়েছেন। অন্যদিকে, পাকিস্তান দাবি করেছে, হামলায় বেসামরিক স্থাপনা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এই ঘটনার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। পাকিস্তান প্রতিশোধের হুমকি দিয়েছে এবং উভয় দেশই সীমান্তে সেনা মোতায়েন বৃদ্ধি করেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
এই হামলা ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে: ভারত কি প্রকৃতপক্ষে সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে, নাকি বেসামরিক ও ধর্মীয় স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে? উভয় দেশের ভিন্ন ভিন্ন দাবি ও পাল্টা দাবি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
এই ঘটনার পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং উভয় দেশকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, যদি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আনা যায়, তাহলে এটি দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে বড় ধরনের সংঘর্ষে রূপ নিতে পারে।