চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে ২২২ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৭ হাজার ৮৪ কোটি টাকার সমান। এটি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৬.৬৪ শতাংশ বেশি। এই প্রবৃদ্ধি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শীর্ষ দশ দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।

এছাড়া, এই সময়ে বাংলাদেশি রপ্তানি চীনের তুলনায় অধিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। বিশেষত, চীনকে পেছনে ফেলে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ভিয়েতনাম শীর্ষস্থান দখল করেছে। ভিয়েতনাম ৩৮৭ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৪ শতাংশ বেশি। চীনের রপ্তানি বেড়েছে ৪.১৮ শতাংশ, তবে চীনের তুলনায় ভিয়েতনামের রপ্তানি ১৮ কোটি ডলার বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি বাজার হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। গত অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট পণ্য রপ্তানির ১৭ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়েছিল। এই বাজারে রপ্তানি হওয়া বাংলাদেশের পণ্যগুলোর ৮৭ শতাংশই তৈরি পোশাক।
অটেক্সার তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশ বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তৃতীয় শীর্ষ পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। গত বছর বাংলাদেশ ৭৩৪ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে। চলতি বছর তা বেড়ে প্রতি মাসে গড়ে ৭৪ কোটি ডলার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ভারত এবং ইন্দোনেশিয়া সহ অন্যান্য দেশের রপ্তানি প্রবৃদ্ধিও উল্লেখযোগ্য। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে ভারত ১৫১ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে, যা ২৪ শতাংশ বেড়েছে, এবং ইন্দোনেশিয়া ১২৩ কোটি ডলারের রপ্তানি করেছে, যা ২০ শতাংশ বেশি।
এছাড়া, মেক্সিকো, হন্ডুরাস, কম্বোডিয়া, পাকিস্তান, এবং কোরিয়াও যথাক্রমে তাদের পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, হন্ডুরাসের রপ্তানি ১০ শতাংশ কমেছে।