মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যঘাটতি ১৪ শতাংশ বেড়ে ১৪০ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রাম্প প্রশাসনের পাল্টা শুল্ক আরোপের আশঙ্কায় মার্কিন আমদানিকারকরা বিপুল পরিমাণে পণ্য আমদানি করেছেন, যার ফলে বাণিজ্যঘাটতি এই পর্যায়ে পৌঁছেছে। ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপির সংকোচনেও এই আমদানির প্রভাব রয়েছে।
এ বছরের মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্র ৪১৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে, যা সর্বকালীন রেকর্ড। তবে এর বিপরীতে, রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২৭৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার, যা আগের মাসের তুলনায় সামান্য বেড়েছে। যদিও আমদানির পরিমাণ ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে, চীন থেকে আমদানির পরিমাণ ৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের বাণিজ্যনীতির কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ট্রাম্পের এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশের উপর পাল্টা শুল্ক আরোপের কারণে মার্কিন বাণিজ্য ঘাটতি বাড়ছে এবং এর প্রভাব দেশের অর্থনীতিতেও পড়ছে। ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে বাণিজ্যঘাটতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপি ৪ দশমিক ৮৩ শতাংশীয় পয়েন্ট সংকুচিত হয়েছে, যা দেশের অর্থনীতির জন্য একটি বড় সংকেত।
এছাড়া, সামগ্রিকভাবে, মার্কিন বিনিয়োগকারীরা অর্থনীতিতে আস্থা হারাচ্ছেন এবং তারা মার্কিন ডলারে বিনিয়োগ করা শেয়ার ও বন্ড ছেড়ে অন্য মুদ্রায় বিনিয়োগ করছেন। এর প্রমাণ হিসেবে বলা হচ্ছে, মার্চ মাসে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি কমে গেছে এবং ২০২৪ সালের নভেম্বরের পর বিনিয়োগকারীরা অফশোরে স্বর্ণ ও রুপার বুলিয়নে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছেন।