পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে চলমান সামরিক উত্তেজনা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্বনেতারা। তারা দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দেশকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন। তবে পরিস্থিতির মধ্যে নতুন মাত্রা যোগ করেছে ইসরায়েল, যারা প্রকাশ্যে ভারতকে সমর্থন জানিয়েছে।
ইসরায়েল বলেছে, তারা ভারতের আত্মরক্ষার অধিকারকে পূর্ণ সমর্থন করে। অন্যদিকে, জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীন, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা দুই দেশকে শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিরোধ নিষ্পত্তির পরামর্শ দিয়েছেন।
এই উত্তেজনা শুরু হয় গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে, যখন ভারত পাকিস্তানের লাহোরের কাছে মুরিদকে এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এতে অন্তত ২৬ জন নিহত হন বলে নিশ্চিত করেছে পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষ। পাল্টা জবাবে পাকিস্তান ভারতের নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর অঞ্চলে গোলাবর্ষণ করে, যাতে প্রাণ হারান ১০ জন।
উভয় দেশের সীমান্তে সেনা সদস্য মোতায়েন বাড়ানো হয়েছে এবং সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে আতঙ্ক বিরাজ করছে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা বলছেন, পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে না এলে বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে।
বিশ্ব নেতারা কূটনৈতিকভাবে দ্রুত হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করছেন। তুরস্ক, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছে। তবে ভারতের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক শান্তি আলোচনার ঘোষণা আসেনি।
অন্যদিকে, পাকিস্তান জানিয়েছে, তারা নিজেদের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে। এ নিয়ে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ জরুরি বৈঠক করেছে।
বিগত কয়েক বছরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্ত উত্তেজনা প্রায় নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়ালেও এবারের সংঘর্ষে প্রাণহানির সংখ্যা এবং আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়ার পরিমাণ অনেক বেশি। বিশ্লেষকদের মতে, কূটনৈতিক চাপ এবং আঞ্চলিক সংহতির অভাবের কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল আকার নিতে পারে।
পরিস্থিতি এখনো অনিশ্চিত। সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। তাদের জীবনে যেন নতুন করে যুদ্ধের ছায়া নেমে এসেছে।