বগুড়ার নন্দীগ্রামে সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার এজাহারনামীয় আসামিকে ছাড়িয়ে নিতে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীরা। আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে তাঁরা নন্দীগ্রাম থানার সামনে জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকেন এবং প্রায় এক ঘণ্টা ধরে অবস্থান করেন।
বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন নন্দীগ্রাম উপজেলা জামায়াতের আমির আবদুর রহমান ও পৌর জামায়াতের সেক্রেটারি আবদুল আলিম। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এজাহারভুক্ত আসামিকে কোনোভাবেই থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া সম্ভব নয়, এ কথা জানানো হলে দলীয় নেতারা কর্মীদের নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
থানা-পুলিশ জানায়, গত বুধবার রাতে নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সাংবাদিক নজরুল ইসলামের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। বর্তমানে তিনি বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। নজরুল ইসলাম দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি ও নন্দীগ্রাম উপজেলা প্রেসক্লাবের সদস্যসচিব।
হামলার ঘটনায় শনিবার রাতে থানায় মামলা হলে পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে তিনজন এজাহারনামীয় আসামিকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মোহাম্মদ জাকারিয়া ইসলাম, আতিকুল ইসলাম ও আবদুর রহিম। তাঁরা জামায়াত ও এর সহযোগী সংগঠনের স্থানীয় পর্যায়ের নেতাকর্মী বলে জানা গেছে।
নন্দীগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু মুসা সরকার বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া আবদুর রহিম যুবলীগের পদে থাকলেও তাঁকে জামায়াতের নেতা দাবি করে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা থানায় আসেন। পুলিশ তাদের স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, আইনি প্রক্রিয়া ছাড়া থানায় আটক আসামিকে ছেড়ে দেওয়ার সুযোগ নেই।
ঘটনার বিষয়ে উপজেলা জামায়াতের আমির আবদুর রহমানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে পৌর জামায়াতের সেক্রেটারি আবদুল আলিম দাবি করেন, নজরুল ইসলাম নামধারী সাংবাদিক জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছেন। তাঁর ওপর হামলায় যাঁরা অভিযুক্ত, তাঁদের সঙ্গে জামায়াতের কেউ জড়িত নয়। গ্রেপ্তারের প্রতিবাদেই নেতা-কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং আইনের বাইরে গিয়ে কোনো দাবি মানার প্রশ্নই ওঠে না।