গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর বলেছেন, আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের দুঃশাসনে বিএনপি-জামায়াতসহ বাম-ডান সকল রাজনৈতিক শক্তি একত্রিত হয়ে কাজ করেছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে কিছু রাজনৈতিক দল নিজেদের আধিপত্য ও শক্তি প্রদর্শনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে, যার ফলে ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যে কিছুটা ভাঙ্গন দেখা যাচ্ছে।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে পঞ্চগড় জেলা শহরের শেরেবাংলা পার্কের মুক্তমঞ্চে গণ অধিকার পরিষদ পঞ্চগড় জেলা শাখা আয়োজিত এক গণসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
নূরুল হক নূর অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ আমলের লুটপাট, দখলদারি, চাঁদাবাজি এবং মাফিয়াদের রাজনীতি এখনো অব্যাহত আছে। তিনি বলেন, “সারা দেশে গণ-অভ্যুত্থানের পরও এসব অন্যায় বন্ধ হয়নি। ট্রাকস্ট্যান্ড, টেম্পোস্ট্যান্ড, বাসস্ট্যান্ড, কাঁচাবাজার, সবজিবাজার, গার্মেন্টস, মিল-ফ্যাক্টরিগুলোতে এখনো আগের মতো চাঁদাবাজি চলছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থেকে সরে গেলেও সাধারণ মানুষের রক্তচোষা চক্র এখনো সক্রিয় রয়েছে।”
তিনি প্রশ্ন রাখেন, “আমরা বুকের রক্ত দিয়ে চাঁদাবাজদের হটিয়েছি, জীবন দিয়ে দখলদারদের বিতাড়িত করেছি, তাহলে এখন যারা চাঁদাবাজি করছে, দখলদারি চালাচ্ছে তারা কারা?”
ডাকসুর সাবেক ভিপি নুর আরো বলেন, “জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থান শুধু আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতন ঘটায়নি, বরং ভারতীয় আগ্রাসন ও আধিপত্যকেও চ্যালেঞ্জ করেছে। চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের কোনো রাজনৈতিক জায়গা থাকবে না। যারা এই দেশে গণহত্যা ও বর্বরতা চালিয়েছে, তারা রাজনীতির ময়দানে টিকে থাকতে পারবে না।”
গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গণ অধিকার পরিষদ পঞ্চগড় জেলা শাখার আহ্বায়ক মাহফুজার রহমান। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান নূর, গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য হানিফ খান, রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ মুন্নাফ, গণসংহতি আন্দোলন পঞ্চগড় জেলা শাখার আহ্বায়ক সাজেদুর রহমান, পঞ্চগড় জেলা জাগপার সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার বিপ্লব এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন পঞ্চগড় জেলার অন্যতম সমন্বয়ক ফজলে রাব্বী প্রমুখ।