স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচিত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদের হঠাৎ অপসারণের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই জনপ্রতিনিধিরা। তাঁরা দ্রুত স্বপদে পুনর্বহাল করার দাবি জানিয়েছেন।
আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে ‘স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচিত ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের অপসারিত জনপ্রতিনিধিবৃন্দ’ ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা এ দাবি তোলেন। লিখিত বক্তব্য দেন সংগঠনের সভাপতি ও গাজীপুর সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ইজাদুর রহমান চৌধুরী।
তিনি জানান, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিরপেক্ষভাবে বিভিন্ন ধাপে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে কোনো দলীয় প্রতীক ছিল না। স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে জয়ী হয়ে শপথ নেওয়ার পর জনপ্রতিনিধিরা দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর হঠাৎ করেই ১৮ আগস্ট স্থানীয় সরকার বিভাগ সারা দেশের ৪৯৫টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের অপসারণ করে। তাঁদের জায়গায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সাময়িকভাবে প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতা দেওয়া হয়, যা খুবই দুঃখজনক।
ইজাদুর রহমান বলেন, কোনো ব্যাখ্যা বা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে নির্বাহী আদেশে তাঁদের অপসারণ করা হয়েছে। এটি দেশের সংবিধানের ২৬, ২৭, ৩১ ও ৫৯ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন বলেও দাবি করেন তিনি।
সংগঠনের আহ্বায়ক লায়লা বানু বলেন, “আপৎকালীন সময়ে উপজেলাই জনগণের পাশে দাঁড়ায়। কিন্তু দীর্ঘদিন প্রশাসক দিয়ে এসব পরিষদ চালিয়ে যাওয়া কার্যকর নয়।” তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার উপজেলা পরিষদ আইনকে উপেক্ষা করে একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে যেভাবে এসব জনপ্রতিনিধিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, তা আইন ও ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।
লায়লা বানু আরও বলেন, “উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা জনগণের সরাসরি নির্বাচিত প্রতিনিধি নন। ফলে তৃণমূল পর্যায়ের জনগণের সঙ্গে তাঁদের সংযোগ নেই। এতে উন্নয়ন কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং জনসেবা ব্যাহত হচ্ছে।”
বক্তারা চট্টগ্রাম ও ঢাকার সিটি করপোরেশন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের বৈষম্যমূলক আচরণেরও সমালোচনা করেন। তাঁরা বিএনপির মেয়র প্রার্থীদের শপথ ও গেজেট ইস্যুর উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, একদিকে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের শপথ গ্রহণ নিশ্চিত করা হচ্ছে, অন্যদিকে উপজেলা জনপ্রতিনিধিদের বরখাস্ত করা হয়েছে—এটি দ্বৈত নীতি।
সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন, যত দ্রুত সম্ভব তাঁদের পদে পুনর্বহাল করতে হবে এবং উপজেলা পরিষদের কার্যক্রম নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নেতৃত্বে ফিরিয়ে আনতে হবে—এটাই জনগণের প্রত্যাশা।
এই প্রতিবেদনটি যদি আপনি ইউটিউব বা রিল ভিডিও আকারেও প্রকাশ করতে চান, আমি চাইলে স্ক্রিপ্ট বানিয়ে দিতে পারি। আগ্রহী?