স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের রেকর্ড মুনাফা ৩৩০০ কোটি টাকা, ছাড়িয়ে গেছে ব্র্যাক, সিটি ও পূবালী ব্যাংককেও

News Desk

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের রেকর্ড মুনাফা ৩৩০০ কোটি টাকা, ছাড়িয়ে গেছে ব্র্যাক, সিটি ও পূবালী ব্যাংককেও. Dhakainlight.com

বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনাকারী বহুজাতিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক আবারও দেখাল শ্রেষ্ঠত্বের নজির। বিদায়ী ২০২৪ অর্থবছরে ব্যাংকটি নিট মুনাফা করেছে ৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকা, যা দেশের ব্যাংক খাতের ইতিহাসে সর্বোচ্চ এবং দেশের শীর্ষস্থানীয় তিন ব্যাংক—ব্র্যাক, সিটি ও পূবালী ব্যাংকের সম্মিলিত মুনাফার চেয়েও বেশি।

উল্লেখ্য, ব্র্যাক, সিটি ও পূবালী ব্যাংক মিলে এ সময় মুনাফা করেছে মোট ৩ হাজার ২২৬ কোটি টাকা। সেই তুলনায় এককভাবে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের মুনাফা প্রায় ৭৪ কোটি টাকা বেশি।

ব্যাংকটির বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত কয়েক বছর ধরেই মুনাফা প্রবৃদ্ধির ধারায় রয়েছে এই বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানটি।

  • ২০২১ সালে তাদের নিট মুনাফা ছিল ৭৫৮ কোটি টাকা
  • ২০২২ সালে তা বেড়ে হয় ১ হাজার ৬৫৫ কোটি টাকা
  • ২০২৩ সালে ২ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা
  • আর ২০২৪ সালে এসে তা দাঁড়ায় ৩ হাজার ৩০০ কোটিতে

ব্যাংকটি ঋণ কার্যক্রম থেকে আয় করেছে ৩ হাজার ১ কোটি টাকা এবং আমানতের বিপরীতে সুদ দিয়েছে ২ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা। এছাড়া বিনিয়োগ, কমিশন ও অন্যান্য সেবা থেকে অর্জিত আয় ছিল ২ হাজার ৭৮৮ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে পরিচালন আয় দাঁড়ায় ৫ হাজার ৫০১ কোটি টাকায়। এই আয় থেকে অফিস খরচ, বেতন-ভাতা ও অন্যান্য পরিচালন ব্যয় বাবদ খরচ হয়েছে ৯০৬ কোটি টাকা। পরবর্তীতে নিরাপত্তা সঞ্চিতি ও কর পরিশোধের পর প্রকৃত মুনাফা দাঁড়ায় ৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকায়।

বাংলাদেশে ১২০ বছরের বেশি সময় ধরে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড। বর্তমানে তাদের রয়েছে ১৮টি শাখা, ১টি ইসলামিক উইন্ডো এবং ৩টি গ্রাহকসেবা কেন্দ্র। ২০২৪ সালের শেষে ব্যাংকটির ঋণের পরিমাণ ছিল ৩০ হাজার ৬ কোটি টাকা, যেখানে খেলাপি ঋণের হার মাত্র ২ দশমিক ৭৯ শতাংশ। মূলধনসহ অন্যান্য আর্থিক সূচকে ব্যাংকটির অবস্থান এখনো শীর্ষস্থানেই রয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, দক্ষ ব্যবস্থাপনা, ঝুঁকিনিয়ন্ত্রণে কৌশলী পদক্ষেপ এবং বহুমুখী ব্যাংকিং সেবার কারণে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড এই অবস্থানে পৌঁছেছে। ব্যাংকটির এই মুনাফা অন্যান্য দেশি ব্যাংকের জন্য এক ধরনের দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Leave a Comment

Footer Section