সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে হামলার ঘটনায় মামলা, বিএনপি থেকে বহিষ্কার এক নেতা

News Desk

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে হামলার ঘটনায় মামলা, বিএনপি থেকে বহিষ্কার এক নেতা। ঢাকাইনলিঘত।চম

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীদের ওপর হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। শনিবার (৩ মে) সকালে ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় সাতজন আহত হন এবং ভাঙচুর করা হয় জরুরি বিভাগের আসবাবপত্র। ঘটনার পর দিন রাতে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ জ্যেষ্ঠ নার্স মর্জিনা খাতুন সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।

জানা গেছে, হামলার নেতৃত্ব দিয়েছেন সাতক্ষীরা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি সোহেল আহমেদ ওরফে মানিক। ঘটনার পরই বিএনপির কেন্দ্রীয় জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা চিঠিতে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহমতুল্লাহ ও সদস্যসচিব আবু জাহিদ।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা শেখ ফায়সাল আহমেদ বলেন, গুরুতর জখম অবস্থায় শাহিন হোসেন (২৫) নামের এক রোগীকে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জরুরি বিভাগে আনা হয়। চিকিৎসক আক্তার মারুফ তাঁকে ভর্তি করলেও ওয়ার্ডে চিকিৎসক না থাকায় রোগীর স্বজনেরা ক্ষুব্ধ হয়ে জরুরি বিভাগে ফিরে এসে উত্তেজিত হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তাঁরা চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য কর্মচারীদের মারধর করেন এবং জরুরি বিভাগের চেয়ার-টেবিলসহ নানা সরঞ্জাম ভাঙচুর করেন।

মামলার এজাহারেও এই ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জরুরি বিভাগের দুই কর্মী বলেন, সোহেল আহমেদের নেতৃত্বেই হামলাটি হয়েছে। এ সময় সেখানে থাকা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে কর্মরত চিকিৎসক তানভির রহমানও হামলাকারীদের চিনতে পেরেছেন বলে দাবি করেছেন। তিনি হামলার নেতৃত্বে থাকা ব্যক্তির ছবি দেখিয়ে শনাক্ত করেছেন।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সোহেল আহমেদ। তাঁর ভাষ্য, “চিকিৎসা না পেয়ে রোগীর স্বজনেরা উত্তেজিত হয়ে এই ঘটনা ঘটায়। আমি সেখানে পরিস্থিতি শান্ত করতে গিয়েছিলাম। উল্টো আমাকেই মারধর করা হয়। রাজনীতির প্রতিহিংসা থেকে বিএনপি আমাকে অপবাদ দিয়ে বহিষ্কার করেছে।”

বিএনপির চিঠিতে বলা হয়েছে, দলের একজন দায়িত্বশীল নেতা হয়েও সোহেল আহমেদ সংঘাতমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় তাঁকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো।

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামিনুল হক জানান, মামলার ভিত্তিতে পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে হামলাকারীদের শনাক্তের চেষ্টা করছে। শনিবার রাতের পর থেকে রোববার বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

Leave a Comment

Footer Section