জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে এমন একটি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, যাতে কোনো নাগরিক যেন কখনোই মনে না করেন যে তাঁর অধিকার খর্ব হয়েছে।
শনিবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। আলোচনার শুরুতেই আলী রীয়াজ বলেন, কেবল একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রই নাগরিকের সব অধিকার নিশ্চিত করতে পারে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং বিকেন্দ্রীকরণকৃত বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় সুবিচার পৌঁছে দিতে পারে।
আলী রীয়াজ জানান, জাতীয় সনদ তৈরির জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে কমিশন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই সনদে সব ধরনের নাগরিক অধিকার সুরক্ষিত থাকবে। তাঁর মতে, এই সুরক্ষা ছাড়া একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজ এবং মানুষের মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।
ইউপিডিএফকে একটি ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের রাজনৈতিক দল উল্লেখ করে আলী রীয়াজ বলেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে জনগণের অধিকার আদায়ে সক্রিয়ভাবে আন্দোলন করে আসছে। তাদের ওপর নির্যাতন হয়েছে, অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে, তবুও স্বাধীনতার আদর্শ—সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠায় দলটি অবিচল রয়েছে।
বৈঠকে আরও বক্তব্য দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। আলোচনায় অংশ নেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান ও মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া।
ইউপিডিএফের পক্ষ থেকে আলোচনায় অংশ নেন সংগঠক মাইকেল চাকমা, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি অমল ত্রিপুরা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সভাপতি জিকো ত্রিপুরা এবং পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাবেক সভাপতি সুনয়ন চাকমা।