মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তাঁর সরকারের শুল্কনীতি টেক্সটাইলের মতো সাধারণ পণ্য নয়, বরং দেশীয়ভাবে ট্যাংক, যুদ্ধজাহাজ, আধুনিক প্রযুক্তিপণ্য ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্মাণকে উৎসাহিত করতেই গ্রহণ করা হয়েছে।
গতকাল রোববার নিউ জার্সিতে এয়ারফোর্স ওয়ানে ওঠার আগে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে জুতা আর টি-শার্ট বানাতে চাইছি না। আমরা সামরিক সরঞ্জাম বানাতে চাই। বড় বড় জিনিস বানাতে চাই।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি সত্যি বলতে টি-শার্ট বা মোজা বানাতে চাই না। এসব অনায়াসেই অন্য দেশে তৈরি হতে পারে। আমরা তৈরি করতে চাই চিপস, কম্পিউটার, ট্যাংক ও জাহাজ।’
ট্রাম্প তাঁর অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্টের বক্তব্যেরও সমর্থন করেন। গত ২৯ এপ্রিল বেসেন্ট বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রে টেক্সটাইল শিল্প প্রসারের প্রয়োজন নেই। ওই মন্তব্যের সমালোচনা করে ন্যাশনাল কাউন্সিল অব টেক্সটাইল অর্গানাইজেশনস এক বিবৃতিতে অসন্তোষ জানায়।
এর মধ্যেই ট্রাম্প আবারও তাঁর আগ্রাসী বাণিজ্যনীতির ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন। একই সঙ্গে অ্যাপলকেও সতর্ক করেছেন—বিদেশে তৈরি আইফোন আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হতে পারে।
ট্রাম্পের এই অবস্থান তার ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতিরই সম্প্রসারণ, যেখানে সাধারণ ভোগ্যপণ্যের পরিবর্তে যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রতিরক্ষা ও প্রযুক্তি নির্মাতা দেশ হিসেবে গড়ে তুলতেই মূল লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।