নোয়াখালীর হাতিয়ার মেঘনা নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ এক রোহিঙ্গা নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার সকালে লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর রমিজ এলাকা থেকে হাছিনা খাতুন (২৫) নামের ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। তবে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন তাঁর সন্তান তামিম এবং ভাসানচর থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্য সাইফুল ইসলাম।
হাতিয়া ও ভাসানচর থানার পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধার তৎপরতা এখনো চলছে।
গতকাল শনিবার দুপুরে হাতিয়ার করিমবাজার ঘাটের কাছাকাছি মেঘনা নদীর একটি ডুবোচরে ধাক্কা খেয়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। ট্রলারটিতে মোট ৩৯ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে ৩৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলেই অসুস্থ হয়ে মারা যান ভাসানচর সাবপোস্ট অফিসের ভারপ্রাপ্ত পোস্টমাস্টার মো. গিয়াস উদ্দিন ভূঁইয়া (৫৫)। আজ দুপুরে তাঁর মরদেহ নিজ বাড়ি ফেনীর ধুলিয়া ইউনিয়নে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কুতুব উদ্দিন বলেন, “আজ সকালে চর রমিজ এলাকায় ভেসে আসা এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়, যিনি নিখোঁজ হাছিনা খাতুন বলে শনাক্ত হয়েছেন। তাঁর লাশ বর্তমানে নৌ পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।”
দুর্ঘটনার বিষয়ে জানা যায়, ট্রলারটি গতকাল সকালে চেয়ারম্যানঘাট থেকে পণ্য নিয়ে ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। ফেরার পথে করিমবাজার ঘাটের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। যাত্রীদের মধ্যে অনেকে নদীতে পড়ে যান। উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয় আশপাশের ট্রলারগুলো।
এ ঘটনায় নদীপথে যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয় প্রশাসন বলছে, নিখোঁজদের উদ্ধারে সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।