মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার সোনাপুর সীমান্ত দিয়ে ১৯ নারী, পুরুষ ও শিশুকে জোরপূর্বক বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ রোববার ভোরে কাঁটাতারের গেট খুলে তাঁদের সীমান্ত পার করিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেয় বিএসএফ সদস্যরা। পরে তাদের মুজিবনগর থানা-পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ৯ জন শিশু, ৫ জন নারী ও ৫ জন পুরুষ রয়েছেন। তাঁদের সবার দাবি, তাঁরা বাংলাদেশি নাগরিক। জীবিকার সন্ধানে বিভিন্ন সময়ে তারা অবৈধভাবে ভারতে গিয়েছিলেন। সেখানকার পুলিশ তাঁদের আটক করে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে। পরে বিএসএফ তাঁদের সীমান্তে এনে বাংলাদেশে ঠেলে দেয়।
ফেরত আসা একজন রিয়াজ আলী জানান, প্রায় চার বছর আগে চোরাইপথে ভারতে গিয়ে নয়ডার একটি লোহার কারখানায় কাজ করছিলেন। ২ মে পুলিশ তাকে আটক করে নদীয়া জেলার কারাগারে পাঠায়। এরপর শনিবার রাতভর জেল থেকে এনে আজ ভোরে সীমান্তে ট্রাকে তুলে রেখে যায় বিএসএফ।
মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, আটক ব্যক্তিরা সবাই বাংলাদেশি বলে দাবি করছেন, তবে তাঁদের কারো কাছেই কোনো জাতীয় পরিচয়পত্র নেই। তাঁরা নীলফামারী, কুড়িগ্রামসহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা বলে দাবি করেছেন। তাঁদের পরিচয় যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ঘটনায় সীমান্ত এলাকায় উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, বিএসএফ বারবার এভাবে বাংলাদেশিদের ঠেলে পাঠিয়ে সীমান্তের স্থিতিশীলতা বিঘ্ন করছে। বিষয়টি নিয়ে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে দ্রুত আলোচনার দাবি জানিয়েছেন মানবাধিকারকর্মীরা।