দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় মাইনাস ১৭ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ফুটবল খেলাটা কল্পনার চেয়েও বোধহয় বেশি কঠিন। এমন বিরূপ পরিবেশে লিওনেল মেসিদের খেলা নিয়ে কদিন ধরে কথা হয়েছে অনেক। এমনকি ৫ থেকে ৭ ইঞ্চি উচ্চতার তুষারপাতের আশঙ্কায় ম্যাচ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল ২৪ ঘণ্টা।
তবু লাভ হয়নি খুব একটা। লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামি আজ কানসাসের চিলড্রেনস মার্কি পার্কে যখন খেলতে নামে, তখন তাপমাত্রা মাইনাস ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা একপর্যায়ে ১৭–এও নেমে আসে।
তবে এমন দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যেও কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের ম্যাচে স্পোর্টিং কেসিকে ১–০ গোলে হারিয়েছে মায়ামি। মেসির গোলে ম্যান জেতার পর এমন আবহাওয়ায় ফুটবল খেলাকে ‘অমানবিক’ বলে মন্তব্য করেছেন মায়ামি কোচ হাভিয়ের মাচেরানো।যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য পশ্চিমাঞ্চলের অঙ্গরাজ্য কানসাসে ইন্টার মায়ামি ও স্পোর্টিং কেসির ম্যাচের শুরুতে অনুভূত তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর ম্যাচের মধ্যে এই তাপমাত্রা নেমে আসে মাইনাস ১৯ ডিগ্রিতে, অনুভূত তাপমাত্রা মাইনাস ২২–এ। ম্যাচের পর স্বাভাবিকভাবেই এমন ঠান্ডার মধ্যে খেলা নিয়ে কথা বলতে হয়েছে মায়ামি কোচকে।
তাপমাত্রা ফুটবলের জন্য কতটা প্রতিকূল ছিল, বোঝাতে গিয়ে মাচেরানো বলেন, ‘আমি খুবই গর্বিত। কারণ, এ ধরনের পরিবেশে খেলা আসলে অসম্ভব। এটা মোটেই মানবিক ব্যাপার নয়। আমরা এখন কোয়ালিফায়ারের (শেষ ষোলোয় উত্তীর্ণ হওয়ার) অর্ধেক পথ পেরিয়েছি। কঠিন এই ম্যাচটির পর আমরা এখন বিশ্রাম নেওয়ার চেষ্টা করব।’
এত কম তাপমাত্রায় মেসি আগে কখনো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলেননি। প্রথমবার খেলতে নেমে আর্জেন্টাইন তারকা যে গোলও করেছেন, তাতে অবশ্য অবাক নন মাচেরানো, ‘অসাধারণ গোল। আমার মনে হয়, সম্ভবত যারা তাকে চেনে, তাদের কাছে এটা স্বাভাবিক। কারণ, এরকম কিছু বা এ ধরনের গোল সে হাজারবার দিয়েছে। তাকে আমরা নিজেদের দলে পেয়ে সৌভাগ্যবান মনে করি।