ভারী বর্ষণে খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি ঢল, দীঘিনালা-লংগদু সড়কে বন্ধ যান চলাচল

News Desk

ভারী বর্ষণে খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি ঢল, দীঘিনালা-লংগদু সড়কে বন্ধ যান চলাচল. Dhakainlight.com

খাগড়াছড়িতে কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে পাহাড়ি ঢল নেমে এসেছে। এর ফলে মাইনী নদীর পানি অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গিয়ে দীঘিনালা উপজেলার বেশ কয়েকটি নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে রাঙামাটির লংগদু ও খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার সংযোগ সড়কসহ আশপাশের গ্রামীণ এলাকার সড়ক ও ফসলের খেত পানির নিচে চলে গেছে। বিশেষ করে দীঘিনালা-লংগদু সড়কে কয়েকশ মিটার অংশ পানির নিচে চলে যাওয়ায় যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।

মাইনী নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়নের সোবাহানপুর, চিটাগাংগ্গ্যেপাড়া ও মেরুং বাজারের একাংশ প্লাবিত হয়। হেডকোয়ার্টার, আটরকছড়া, রাবার বাগান মোড়সহ বেশ কয়েকটি এলাকা ডুবে গিয়ে স্বাভাবিক যাতায়াতে বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যার পর থেকেই সড়কের বড় অংশ পানির নিচে চলে যায়। এতে বিভিন্ন যানবাহন আটকে পড়ে এবং যাত্রীরা হেঁটে ডুবে যাওয়া রাস্তা পার হয়ে অপর পাশ থেকে যানবাহনে উঠতে বাধ্য হন। পানিতে আটকে পড়া একটি পণ্যবাহী ট্রাকও দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে।

দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত কুমার সাহা জানান, মাইনী নদীর পানি কিছুটা কমেছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত স্থানীয়দের সর্তকভাবে চলাচলের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, গতকাল দুইটি আশ্রয়কেন্দ্রে শতাধিক মানুষ আশ্রয় নিলেও আজ সকালে একটি আশ্রয়কেন্দ্র খালি হয়ে গেছে। বর্তমানে ছোট মেরুং বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে ৪৮ জন অবস্থান করছেন। তাদের জন্য পর্যাপ্ত খাবার ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

পাহাড়ি ঢলের কারণে এলাকা জুড়ে চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

Footer Section