ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ আমাদের দেখার বিষয় নয়: যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট ভ্যান্স

News Desk

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ আমাদের দেখার বিষয় নয়: যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট ভ্যান্স. Dhakainlight.com

ভারত ও পাকিস্তানের চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেছেন, “এই যুদ্ধ আমাদের দেখার বিষয় নয়।” তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে না, এবং তারা এই সংঘাতে জড়াতে চায় না।

গতকাল বৃহস্পতিবার ফক্স নিউজের ‘দ্য স্টোরি উইথ মার্থা ম্যাককালাম’ নামের একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে সাক্ষাৎকারে এসব মন্তব্য করেন ভ্যান্স। তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে যে, যুক্তরাষ্ট্র চায় পরিস্থিতি দ্রুত শান্ত হোক, তবে এটি এমন কোনো বিষয় নয় যেখানে তাদের হস্তক্ষেপ কার্যকর হবে।

ভ্যান্স বলেন, “আমরা চাই পরিস্থিতি শান্ত হোক। তবে আমরা এসব দেশকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না, কেবল উদ্বুদ্ধ করতে পারি। আমাদের মূল মনোযোগ থাকা উচিত এমন যুদ্ধে, যা আমাদের জাতীয় স্বার্থে পড়ে।”

যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান বৈদেশিক কূটনৈতিক মনোযোগ মূলত ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং গাজা-ইসরায়েল সংঘর্ষের দিকে কেন্দ্রীভূত। সেই প্রেক্ষাপটে ভারত-পাকিস্তানের উত্তেজনার বিষয়টি তারা পর্যবেক্ষণে রাখলেও সরাসরি চাপ প্রয়োগে এখনো সতর্কতা অবলম্বন করছে।

গত ২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হয়। ভারত এই ঘটনার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করলেও পাকিস্তান তা অস্বীকার করেছে এবং নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে। এর পর থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে।

বৃহস্পতিবার টানা দ্বিতীয় দিনের মতো ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়। উভয় দেশই একে অপরের বিরুদ্ধে ড্রোন হামলার অভিযোগ করেছে। এ ঘটনায় দুই দিনে নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় ৪০-এ।

এ প্রসঙ্গে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, “আমাদের প্রার্থনা, এই উত্তেজনা যেন আঞ্চলিক যুদ্ধ বা আরও খারাপভাবে পারমাণবিক সংঘাতে রূপ না নেয়।”

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বৃহস্পতিবার পৃথকভাবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। তিনি উভয় পক্ষকে উত্তেজনা প্রশমন এবং সরাসরি সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়েছেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও বুধবার বলেছেন, “উভয় দেশ যেন দায়িত্বশীল আচরণ করে এবং সংঘাতের পথ পরিহার করে শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছায়—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।”

Leave a Comment

Footer Section