ভারত ও পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরেই রাজনৈতিক উত্তেজনা ও সীমান্ত সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে চললেও আজ এক শান্তিপূর্ণ উদ্যোগে দুই দেশ একজন করে বন্দি বিনিময় করেছে। আটারি–ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে এই বন্দি বিনিময় সম্পন্ন হয়, যা সাম্প্রতিক উত্তেজনার মধ্যে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
পাকিস্তান তাদের হেফাজতে থাকা ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) জওয়ান পূর্ণম কুমার শ–কে আজ সকালে ভারতের হাতে তুলে দেয়। বিএসএফ জানায়, পূর্ণম কুমার গত ২৩ এপ্রিল পাঞ্জাবের ফিরোজপুর সীমান্ত অতিক্রম করে অসাবধানতাবশত পাকিস্তানের ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছিলেন। এরপর থেকেই তিনি পাকিস্তান রেঞ্জার্সের হেফাজতে ছিলেন।
বিএসএফের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘পূর্ণম কুমারকে সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে পাঞ্জাবের অমৃতসরের আটারি যৌথ চেকপোস্টে শান্তিপূর্ণভাবে হস্তান্তর করা হয়। এই প্রক্রিয়া উভয় দেশের নির্ধারিত নিয়ম অনুসারে সম্পন্ন হয়েছে।’
৪০ বছর বয়সী পূর্ণম কুমার কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলার পরদিন সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে চলে যান। সেই হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হন, যা ভারত–পাকিস্তান সীমান্তে নতুন করে উত্তেজনার সূত্রপাত ঘটায়।
অন্যদিকে ভারত তাদের হাতে আটক পাকিস্তান রেঞ্জার্সের সদস্য মুহাম্মদ উল্লাহকে পাকিস্তানের কাছে হস্তান্তর করেছে। এই প্রক্রিয়াও শান্তিপূর্ণভাবে এবং দুই দেশের প্রচলিত কূটনৈতিক নিয়ম অনুযায়ী সম্পন্ন হয়।
দুই দেশের মিডিয়ায় প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, এই বিনিময় সীমান্তের দুই পাশে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এক সময়ে সম্পন্ন হলো। কিছুদিন আগেই দুই দেশ কাশ্মীর ইস্যুতে তীব্র সামরিক উত্তেজনায় জড়িয়ে পড়েছিল এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছিল।
এই বন্দি বিনিময়ের ঘটনাকে অনেকেই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা হ্রাসে একটি সম্ভাব্য আস্থা-বর্ধক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন। যদিও রাজনৈতিক সম্পর্ক এখনও জটিল, তবে এ ধরনের ছোট ছোট উদ্যোগ ভবিষ্যতে আরও বড় আকারের সংলাপের ভিত্তি হতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
4o