খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে এই চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে
দেশের খাদ্য মজুত বৃদ্ধি করতে ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন নন বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ২৫৯ কোটি ১০ লাখ ৯৭ হাজার টাকা।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় চাল ছাড়াও এলএনজি ও সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ভারতের মেসার্স বাগাদিয়া ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে প্যাকেজ ১০ এর আওতায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল কেনা হবে।
জানা গেছে, ক্রয় প্রস্তাবে প্রতি মেট্রিক টন চালের মূল্য ধরা হয়েছে ৪২৪.৭৭ মার্কিন ডলার। এতে ব্যয় হবে ২ কোটি ১২ লাখ ৩৮ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার বা ২৫৯ কোটি ১০ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে এই চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে দেশে চালের মোট চাহিদা ৩৯.৭৮ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৯ লাখ মেট্রিক টন।
এর আগে, গত ১৪ মার্চ খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ভারতের মেসার্স এস পাত্তাভী এগ্রো ফুডস প্রাইভেট লিমিটেড থেকে ৫০ হাজার টন নন বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির অনুমোদন দেয় সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। সে সময় প্রতি মেট্রিক টন চালের দাম ধরা হয় ৪২৯.৫৫ মার্কিন ডলার। সে হিসাবে ৫০ হাজার টন চালের দাম ধরা হয় দুই কোটি ১৪ লাখ ৭৭ হাজার ৫০০ ডলার।
এরও আগে, গত ২০ ফেব্রুয়ারি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি তা পর্যালোচনা করে অনুমোদন দেয়। ভারতের এমএস বগাদিয়া ব্রাদার্স প্রাইভেট থেকে এই চাল আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সে সময় প্রতি কেজি চালের মূল্য ধরা হয় ৫৩.২ পয়সা। আর প্রতি মেট্রিক টন চালের মূল্য ৪৩৪.৫৫ মার্কিন ডলার ধরা হয়। এতে ৫০ হাজার টন চাল আমদানিতে মোট ব্যয় ধরা হয় দুই কোটি ১৭ লাখ ২৭ হাজার ৫০০ ডলার।
এরও আগে ভারত, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম ও সিঙ্গাপুর থেকে চাল আমদানি অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এর মধ্যে ভারত থেকে দুই দফায় ৫০ হাজার টন করে এক লাখ টন, পাকিস্তান ও সিঙ্গাপুর থেকে ৫০ হাজার টন করে এবং ভিয়েতনাম থেকে এক লাখ টন চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়।