ভারতে যাওয়ার সময় চুয়াডাঙ্গার দর্শনা-জয়নগর চেকপোস্ট থেকে হত্যা মামলার এক এজাহারভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া ওই ব্যক্তির নাম শেখ তাইসুখ ইসলাম, বয়স ২৮ বছর। তিনি কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার মনোহরপুর এলাকার বাসিন্দা। আজ সোমবার সকাল ৯টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয় এবং পরে দর্শনা থানায় হস্তান্তর করা হয়।
তাইসুখ ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট কুমিল্লার ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় মামুন আহমেদ (১৮) নামের এক হোটেল কর্মচারী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। প্রায় ১০ মাস পর ২০২৫ সালের ২৭ মে নিহতের ভাই রানু মিয়া কুমিল্লা কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় কুমিল্লা-৬ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার, তাঁর মেয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র তাহসিন বাহারসহ ১৪৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। শেখ তাইসুখ ইসলাম ছিলেন ওই মামলার ৯৭ নম্বর আসামি। মামলায় তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় উল্লেখ না থাকলেও, তাঁকে অস্ত্রধারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
দর্শনা-জয়নগর ইমিগ্রেশন পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক তারেক মাহমুদ জানান, আজ সকালে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী শেখ তাইসুখ ইসলাম ভারতে যাওয়ার জন্য চেকপোস্টে উপস্থিত হন। পাসপোর্টসহ প্রয়োজনীয় কাগজ যাচাইকালে দেখা যায়, তাঁর বিরুদ্ধে কুমিল্লায় একটি হত্যা মামলা রয়েছে। এরপর তাঁকে আটক করে দর্শনা থানায় সোপর্দ করা হয়।
দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহম্মদ শহীদ তিতুমীর জানিয়েছেন, বিষয়টি কুমিল্লা কোতোয়ালি থানায় জানানো হয়েছে এবং মামলার তদন্তকারী দল দর্শনায় রওনা হয়েছে তাঁকে হেফাজতে নিতে।
এদিকে মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার ওসি মহিনুল ইসলাম জানান, মামুন আহমেদের নাম শহীদ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলাটি দায়ের করা হয়। এই গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে মামলার তদন্তে নতুন গতিপ্রবাহ শুরু হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।