ভারতের শেয়ারবাজারে সূচকের উত্থান–পতন, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সতর্কতা

News Desk

ভারতের শেয়ারবাজারে সূচকের উত্থান–পতন, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সতর্কতা. Dhakainlight.com

ভারতের শেয়ারবাজারে আজ বৃহস্পতিবার সকালে দেখা গেছে সূচকের দোলাচাল। গতকাল সেনসেক্স ও নিফটির সামান্য উত্থানের পর আজ সূচক দুটি আবার অস্থির আচরণ করেছে। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, বিনিয়োগকারীরা এখন বেশ সতর্ক আচরণ করছেন, যার প্রভাব পড়ছে বাজারের গতিপ্রবাহে।

এই প্রতিবেদন লেখার সময় ভারতের প্রধান শেয়ারবাজার বোম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের (বিএসই) সূচক সেনসেক্স কিছুটা নিচে নেমে এসেছে। সূচকটি কমেছে ৬ দশমিক ৯৭ পয়েন্ট, দাঁড়িয়েছে ৮০ হাজার ৭৩৯–এ। অন্যদিকে, আরেক প্রধান সূচক নিফটির পতন হয়েছে ১৮ পয়েন্ট, নামছে ২৪ হাজার ৩৯৬ পয়েন্টে।

গতকাল বুধবার বাজারের দিনশেষে সেনসেক্স সূচক বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৮০ হাজার ৭৪৬ পয়েন্টে, যা আগের দিনের তুলনায় ৫০ পয়েন্ট বেশি। নিফটি বেড়েছিল ৩৪ দশমিক ৮০ পয়েন্ট। একই সঙ্গে নিফটি মিডক্যাপ ১০০ ও স্মলক্যাপ সূচক ১ দশমিক ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়। বাজারের এই ইতিবাচক প্রবণতার পেছনে ছিল বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধির পাশাপাশি ভারত–যুক্তরাজ্যের মধ্যে মুক্তবাণিজ্য চুক্তি নিয়ে ঐকমত্য হওয়ার সম্ভাবনা।

তবে বৃহস্পতিবার সকালে বাজারে আবার দেখা গেছে পতনের ধারা। জেনসল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শেয়ারের দাম কমেছে ৫ শতাংশ, ডাবরের শেয়ারের দাম কমেছে ৪ শতাংশ। অন্যদিকে, টাটা কেমিক্যালসের শেয়ারের দাম বেড়েছে ২ শতাংশ এবং ভোল্টাসের বেড়েছে ৩ শতাংশ।

বিশ্ববাজারেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। এশিয়ার বাজারে হংকংয়ের হ্যাং সেং সূচক কমেছে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ এবং জাপানের টোপিক্স সূচক কমেছে শূন্য দশমিক ২ শতাংশ। অন্যদিকে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে সূচক কিছুটা বাড়তি গতি দেখিয়েছে। ইউরোস্টক্স ফিউচার্স এবং এসঅ্যান্ডপি ৫০০ ফিউচার্স সূচক উভয়েই বেড়েছে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ করে।

এদিকে বিশ্ববাজারে ইতিবাচক একটি খবর এসেছে বাণিজ্য জগৎ থেকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান বাণিজ্য আলোচনায় অগ্রগতির বার্তা পাওয়া গেছে। এরই প্রভাবে আজ সকালে জ্বালানি তেলের দাম কিছুটা বেড়েছে। ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি বেড়েছে ৫১ সেন্ট, দাঁড়িয়েছে ৬১ দশমিক ৬৩ ডলার। একইভাবে ডব্লিউটিও ক্রুডের দাম বেড়েছে ৫৭ সেন্ট, বর্তমানে প্রতি ব্যারেলের দাম ৫৮ দশমিক ৬৪ ডলার।

সব মিলিয়ে ভারতের বাজারে আজকের উত্থান-পতনের পেছনে রয়েছে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক গতি প্রকৃতি, ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং দেশীয় বিনিয়োগকারীদের মনস্তত্ত্ব। এই অবস্থায় বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রয়োজন ধৈর্য ও সতর্কতার সঙ্গে বাজার পর্যবেক্ষণ করা।

Leave a Comment

Footer Section