ভারতের বাজারে বাংলাদেশের আসবাব রপ্তানির পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম হলেও নিয়মিতভাবে সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোতে আসবাব পাঠানো হচ্ছিল বলে জানিয়েছেন নাদিয়া ফার্নিচারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ করিম মজুমদার। তিনি বলেন, “বিশেষ করে ভারতের সেভেন সিস্টার হিসেবে পরিচিত রাজ্যগুলোতে আমাদের আসবাবের চাহিদা তৈরি হয়েছিল। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া এবং সিলেটের তামাবিল সীমান্ত ব্যবহার করে আমরা এসব রাজ্যে পণ্য সরবরাহ করতাম।”
তিনি জানান, “বর্তমানে বছরে আমরা প্রায় ৮০ থেকে ৯০ হাজার মার্কিন ডলারের আসবাব রপ্তানি করি, যা কয়েক বছর আগেও দেড় থেকে দুই লাখ ডলারের মতো ছিল। কিন্তু ভারতের নতুন স্থলপথ নিষেধাজ্ঞার কারণে এই রপ্তানি কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে।”
করিম মজুমদার বলেন, “এই নিষেধাজ্ঞা যদি প্রত্যাহার না করা হয়, তাহলে বিকল্প পথে রপ্তানি করার ক্ষেত্রে খরচ এতটাই বেড়ে যাবে যে তা বহন করা সম্ভব হবে না। ফলে ব্যবসায়ীরা আর ভারতের সেভেন সিস্টারে আসবাব পাঠাতে আগ্রহী হবেন না।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে আসবাব রপ্তানিতে সরকারের কাছে বন্ড সুবিধার দাবি জানিয়ে আসছি। শুনেছি, আগামী বাজেটে এ সুবিধা দেওয়ার চিন্তা করছে সরকার। আমরা মনে করি, এই মুহূর্তে ভারতের বাইরে বিকল্প বাজার খুঁজে বের করাটা জরুরি।”
করিম মজুমদার জানান, ইউরোপ, আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে আসবাব সামগ্রীর রপ্তানির ভালো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। তবে এসব বাজারে প্রবেশ করে প্রতিযোগিতা করতে হলে বন্ড সুবিধা ছাড়া টিকে থাকা কঠিন হবে।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “যদি সরকার আমাদের বন্ড সুবিধা দেয়, তাহলে ভারতের বিকল্প হিসেবে উন্নত দেশগুলোকে আসবাব রপ্তানির বড় বাজার হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে। একই সঙ্গে ভারতের নিষেধাজ্ঞা থেকে যে ক্ষতি হবে, সেটাও কাটিয়ে ওঠা যাবে।”