দক্ষিণ এশিয়ায় চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে ফোন করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। শুক্রবার এই ফোনালাপে রুবিও পাকিস্তান ও ভারতকে উত্তেজনা প্রশমন ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর।
এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, ভবিষ্যতে যেন এমন সংঘাত এড়ানো যায়, সে লক্ষ্যে গঠনমূলক আলোচনা শুরু করতে যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে। মার্কো রুবিও আলোচনার মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফেরাতে আন্তর্জাতিক সহায়তার প্রস্তাব দেন।
এদিকে শনিবার ভোরে পাকিস্তান সেনাবাহিনী জানায়, তারা ভারতের উত্তরাঞ্চলের একটি ক্ষেপণাস্ত্র মজুত ঘাঁটি ও আরও কয়েকটি সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এই সামরিক অভিযানকে ভারতের আগের আক্রমণের জবাব হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
দুই দেশের মধ্যে চলমান এই উত্তেজনাকে গত তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সামরিক সংঘাত হিসেবে বিবেচনা করছেন বিশ্লেষকেরা। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, উভয়পক্ষের পাল্টাপাল্টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা এবং নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর গোলাগুলিতে ৫০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
উল্লেখ্য, কাশ্মীরের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র পেহেলগামে হামলার প্রতিক্রিয়ায় ভারত মঙ্গলবার দিবাগত রাতের প্রথম প্রহরে পাকিস্তানের ভেতরে একাধিক লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এর পর থেকেই শুরু হয় টানা পাল্টাপাল্টি হামলা। আন্তর্জাতিক মহলে এ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে, বিশেষ করে দুই দেশের পারমাণবিক সক্ষমতা থাকায় সংঘাতের মাত্রা নিয়ে আতঙ্কও বেড়েছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি কূটনৈতিক হস্তক্ষেপ এই পরিস্থিতিকে শান্ত করার একটি বড় পদক্ষেপ হতে পারে, তবে তা কতটা কার্যকর হবে, তা নির্ভর করছে ভারত-পাকিস্তানের পরবর্তী অবস্থানের ওপর।