চীন তার মহাকাশ কূটনীতি বাড়ানোর অংশ হিসেবে পাকিস্তানের একটি নভোচারীকে মহাকাশ স্টেশন “তিয়ানগং”-এ পাঠানোর পরিকল্পনা করছে। এই নভোচারী, যিনি এখনও নির্বাচিত হননি, চীনের তিয়ানগং মহাকাশ স্টেশনে প্রথম বিদেশি নাগরিক হিসেবে প্রবেশ করবেন।
পাকিস্তান এবং চীনের মহাকাশ সম্পর্ক দিন দিন আরও ঘনিষ্ঠ হচ্ছে। গত বছর পাকিস্তান একটি স্যাটেলাইট চীনের চন্দ্র অনুসন্ধানকারী মহাকাশযানে পাঠিয়েছিল, যা ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা, ফ্রান্স এবং ইতালির সাথে যৌথভাবে পরিচালিত হয়েছিল।
তিয়ানগং স্টেশন বর্তমানে কাজ করছে এমন দুটি মহাকাশ স্টেশনের মধ্যে একটি, অন্যটি হল আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন। তিয়ানগং স্টেশন ২০২১ সালে চালু হয়, তবে এই স্টেশনে এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র চীনা নভোচারীরা সফর করেছেন।
এই মিশনটি “চীনের মহাকাশ স্টেশনকে আন্তর্জাতিকীকরণে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ” বলে মন্তব্য করেছেন হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানী এবং অধ্যাপক কোয়েন্টিন পার্কার।
চীন মহাকাশ প্রযুক্তি ক্ষেত্রে পাকিস্তানের সাথে আরো একত্রিত হতে চাইছে, যা তাদের অর্থনৈতিক এবং প্রযুক্তিগত সম্পর্কের একটি অংশ। চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর (CPEC) এর আওতায় চীন পাকিস্তানে ব্যাপক পরিমাণে অবকাঠামো উন্নয়ন এবং প্রযুক্তিগত প্রকল্পে বিনিয়োগ করেছে।
পাকিস্তান স্পেস এজেন্সি SUPARCO-এর ডেপুটি ডিরেক্টর আমজাদ আলী বলেন, এটি পাকিস্তানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, কারণ এটি চীনে মহাকাশ মিশনে অংশ নেওয়া প্রথম বিদেশি দেশ হিসেবে চিহ্নিত হবে।
এই মিশনে নভোচারীকে চীনে প্রায় ৬ মাস থেকে এক বছর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, এবং ২০২৬ সালের অক্টোবর নাগাদ তাদের মহাকাশে পাঠানো হতে পারে।
পাকিস্তান এবং চীনের মধ্যে মহাকাশ প্রযুক্তি এবং উপগ্রহ গবেষণায় সহযোগিতা আরও শক্তিশালী হতে যাচ্ছে।
4o mini