পঞ্চগড়ে ধরা পড়া নীলগাই পাঠানো হলো ডুলাহাজরা সাফারি পার্কে

News Desk

পঞ্চগড়ে ধরা পড়া নীলগাই পাঠানো হলো ডুলাহাজরা সাফারি পার্কে. Dhakainlight.com

পঞ্চগড়ের গ্রামাঞ্চলে ধরা পড়া একটি আহত স্ত্রী নীলগাইকে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে কক্সবাজারের ডুলাহাজরা সাফারি পার্কে। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে বন বিভাগের একটি ট্রাকে করে কাঠের খাঁচায় ভরে প্রাণীটিকে পঞ্চগড় থেকে পাঠানো হয়।

চার দিন আগে পঞ্চগড় সদর উপজেলার গরিনাবাড়ি ইউনিয়নের সরকারপাড়া এলাকায় একটি ভুট্টাখেতে এই নীলগাইটিকে ছোটাছুটি করতে দেখা যায়। প্রথমে স্থানীয়রা এটিকে হরিণ বা ঘোড়া মনে করে তাড়া করেন। পরে শতাধিক মানুষের প্রচেষ্টায় নীলগাইটি ধরা পড়ে। খবর পেয়ে বন বিভাগের কর্মীরা গিয়ে সেটিকে উদ্ধার করে নীলগাই হিসেবে শনাক্ত করেন এবং বন বিভাগ কার্যালয়ে নিয়ে আসেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ধারণা করা হচ্ছে প্রাণীটি সীমান্ত পার হয়ে ভারত থেকে এসেছে এবং কাঁটাতারের বেড়া পার হওয়ার সময় পা, মুখ ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত পেয়েছে। পঞ্চগড় বন বিভাগ কার্যালয়ে রেখে গত চার দিন ধরে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

গতকাল মঙ্গলবার ডুলাহাজরা সাফারি পার্ক থেকে একটি প্রতিনিধি দল পঞ্চগড়ে এসে নীলগাইটি নিতে আসে। ওয়াইল্ড লাইফ স্কাউট মো. সাইফুর রহমানের নেতৃত্বে চার সদস্যের ওই দল ট্রাক ও কাঠের খাঁচা নিয়ে আসে। আজ দুপুরে সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মঞ্জুরুল আলম জানিয়েছেন, নীলগাইটিকে অন্তত ২১ দিন কোয়ারেন্টিনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হবে। সুস্থ হওয়ার পর সাফারি পার্কে থাকা অন্য দুটি নীলগাইয়ের সঙ্গে একত্রে বিচরণ করতে দেওয়া হবে।

এটাই প্রথম নয়—এর আগেও পঞ্চগড়ের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। গত ৯ এপ্রিল চাকলাহাট ইউনিয়নের জয়ধরভাঙ্গা এলাকা থেকে আরেকটি স্ত্রী নীলগাই ধরা পড়ে। সেই নীলগাইটিকেও পঞ্চগড় থেকে ট্রাকে করে ডুলাহাজরা সাফারি পার্কে পাঠানো হয়েছিল। ওই সময় একই ট্রাকে গাজীপুরের সাফারি পার্ক থেকে আরেকটি পুরুষ নীলগাইও কক্সবাজারে নেওয়া হয়।

সম্প্রতি সীমান্ত এলাকায় নীলগাইয়ের উপস্থিতি বাড়ছে। কেউ মারা যাচ্ছে, কেউ আবার আহত অবস্থায় উদ্ধার হচ্ছে। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আবাসস্থলের সংকট, খাদ্যসংকট এবং সীমান্তবর্তী এলাকার প্রতিবেশগত পরিবর্তনের কারণে নীলগাইসহ বন্য প্রাণীরা লোকালয়ে চলে আসছে।

এই পরিস্থিতিতে সীমান্ত এলাকায় বন্য প্রাণী সংরক্ষণের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বন ও প্রাণী বিশেষজ্ঞরা।

Leave a Comment

Footer Section