নোয়াখালীতে গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ কিশোর শাহদাতের লাশ দাফনের ৯ মাস পর আদালতের নির্দেশে উত্তোলন

News Desk

নোয়াখালীতে গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ কিশোর শাহদাতের লাশ দাফনের ৯ মাস পর আদালতের নির্দেশে উত্তোলন. Dhakainlight.com

নোয়াখালীতে গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া কিশোর শাহদাত হোসেন ওরফে শাওনের (১৪) লাশ দাফনের নয় মাস ২০ দিন পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে আদালতের নির্দেশে। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সেনবাগ উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নের খাজুরিয়া গ্রামের সর্দারপাড়ার পারিবারিক কবরস্থান থেকে লাশটি উত্তোলন করা হয়।

অভ্যুত্থানের সময় ৫ আগস্ট ঢাকার যাত্রাবাড়ী হানিফ ফ্লাইওভারের ওপর গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারায় কিশোর শাহদাত। তার বয়স ছিল মাত্র ১৪ বছর। পরিবারের সঙ্গে থাকত রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে এবং বাবার হালিম বিক্রির দোকানে সহযোগিতা করত।

লাশ উত্তোলনের সময় উপস্থিত ছিলেন সেনবাগ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা কামাল হোসেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার এসআই ইমরান হোসেনসহ স্থানীয় প্রশাসনের সদস্যরা। কবর থেকে উত্তোলনের পর শাহদাতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

শাহদাতের বড় ভাই মো. হানিফ জানান, ঘটনার দিন তাঁর ভাই ফ্লাইওভারের ওপর গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। পরে তড়িঘড়ি করে কোনো ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ গ্রামে এনে দাফন করা হয়। এরপর তাঁদের পরিবার ঢাকার আদালত এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে দুটি মামলা করে। দুটি মামলাতেই ৪৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশেই এখন কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম মিজানুর রহমান জানান, ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের শেষ দিন ঢাকায় পুলিশের গুলিতে শাহদাত হোসেন শহীদ হয়। বিষয়টি তদন্তের স্বার্থে আদালতের নির্দেশে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।

শাহদাত হোসেন ছিল এই অভ্যুত্থানে প্রাণ হারানো অসংখ্য শহীদের একজন, যার মৃত্যু নতুন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতীক হয়ে উঠেছে। লাশ উত্তোলনের পর আদালতের মাধ্যমে এখন নতুন করে বিচার কার্যক্রমের অগ্রগতি আশা করছেন পরিবার ও সংশ্লিষ্টরা।

Leave a Comment

Footer Section