রাজধানীর নয়াপল্টনে আয়োজিত বিএনপির ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ’ থেকে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। তিনি বলেন, “নির্বাচন নিয়ে হেলাফেলা চলবে না। সংস্কারের কথা বলে কিংবা বিচারের অজুহাতে নির্বাচনের রোডম্যাপ পেছানোর কোনো সুযোগ নাই।”
বিকেলে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে হাজারো নেতা-কর্মীর অংশগ্রহণে এ সমাবেশ শুরু হয়। ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে রাজধানীসহ আশপাশের এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে অংশ নেয় নেতাকর্মীরা। এ সময় আশপাশের রাস্তায় ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়।
আমির খসরু বলেন, আজকের এই সমাবেশ তরুণদের সুনামি তৈরি করেছে। তরুণ প্রজন্ম স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিচ্ছে, গণতন্ত্র ও নির্বাচনের দাবিতে তারা একমত। তিনি দাবি করেন, সংস্কার নিয়ে বিএনপি সবচেয়ে আগে চিন্তা করেছে—সাত বছর আগে খালেদা জিয়া ভিশন ২০৩০ এবং দুই বছর আগে তারেক রহমান ২৭ দফা রূপরেখা তুলে ধরেছেন।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়নি বলা হলেও সেটার চূড়ান্ত রায় দেবে জনগণ। ভোটের মাধ্যমেই সংস্কারের সিদ্ধান্ত হবে। বিচার অসম্পূর্ণ থাকলে বিএনপিই সেই বিচার করবে—কারণ দলের নেতাকর্মীরা দীর্ঘ সময় ধরে নিপীড়ন সহ্য করেছেন, ত্যাগ স্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, “৫ আগস্ট না হলে, যারা এখন দেশ চালাচ্ছেন, অনেকেই বিদেশে থাকতেন। আর আমরা থাকতাম কারাগারে বা ফাঁসির কাষ্টে। তাই বিচারকার্য অসম্পূর্ণ থাকলে, সেটা বিএনপি করবে—তোমাদের ওপর জনগণের ভরসা নাই।”
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। তিনি ভার্চ্যুয়ালি দলের রাষ্ট্রচিন্তা, রাজনৈতিক কৌশল ও ভবিষ্যৎ রূপরেখা তুলে ধরবেন বলে আয়োজকেরা জানিয়েছেন।
সমাবেশে আরও উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, সালাহউদ্দিন আহমদসহ শীর্ষ নেতৃবৃন্দের। তরুণ প্রজন্মকে কাছে টানতেই মে মাসজুড়ে এই কর্মসূচি গ্রহণ করেছে ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল। এর আগে চট্টগ্রাম, খুলনা ও বগুড়ায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকায় আজকের আয়োজন এই ধারাবাহিক কর্মসূচির চূড়ান্ত পর্ব।
