নির্বাচন কমিশনারদের মেয়াদ শেষে শাস্তির বিধান চায় জামায়াত

News Desk

নির্বাচন কমিশনারদের মেয়াদ শেষে শাস্তির বিধান চায় জামায়াত. Dhakainlight.com

নির্বাচন কমিশনারদের মেয়াদ শেষ হলেও দায়িত্বে ত্রুটি বা অনিয়মের জন্য শাস্তির বিধান রাখার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আজ ১৮ মে জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফার বৈঠকে এ দাবি জানায় দলটি।

বৈঠকের বিরতিতে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের সাংবাদিকদের বলেন, অতীতে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ হয়েছে। বর্তমান আইনে কমিশনারদের দায়িত্বে ব্যর্থতার ক্ষেত্রে শাস্তির ব্যবস্থা সীমিত। তাই অবসরের পরেও কমিশনারদের আইনের আওতায় আনতে প্রয়োজনীয় সংশোধন দাবি করেছে জামায়াত।

তিনি আরও জানান, দুর্নীতি দমন কমিশনের কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে জামায়াত। তাদের মতে, দুদক অনেক সময় নিজেরাই দুর্নীতির অভিযোগের মুখে পড়ে। এ থেকে উত্তরণের জন্য জামায়াত একটি টাস্কফোর্স গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে, যা দুদকের ওপর নজরদারি করবে এবং দুর্নীতির প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করবে। এই প্রস্তাবে ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরাও একমত হয়েছেন।

বৈঠকে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ নিয়ে আলোচনা হয়। জামায়াতের প্রস্তাব অনুযায়ী, একজন ব্যক্তি যেন একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ও দলের প্রধান না হতে পারেন এবং কেউ যেন সর্বোচ্চ ১০ বছরের বেশি সময় প্রধানমন্ত্রী না থাকতে পারেন। দলটির মতে, এ ধরনের ব্যবস্থা অনেক দেশেই রয়েছে এবং তা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে।

জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠনেও নীতিগতভাবে সম্মতি দিয়েছে জামায়াত। তবে তারা রাষ্ট্রপ্রধান ও প্রধান বিচারপতিকে এই কাউন্সিলের বাইরে রাখার প্রস্তাব দিয়েছে। কারণ হিসেবে বলা হয়, সংকটের সময়ে জনগণ যেন তাদের কাছে নিরপেক্ষভাবে যেতে পারে।

বৈঠকে ঐকমত্য কমিশনের পক্ষে নেতৃত্ব দেন সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। উপস্থিত ছিলেন সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ইফতেখারুজ্জামান, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্য মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

জামায়াতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের। তার সঙ্গে ছিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মাছুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আজাদ, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, প্রচার ও মিডিয়া সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ, নির্বাহী পরিষদের সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল, উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন এবং আইনজীবী শিশির মোহাম্মদ মনির। প্যানেল সদস্য হিসেবে ছিলেন মহিউদ্দিন সরকার।

Leave a Comment

Footer Section