বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে ‘সংকটময়’ আখ্যা দিয়ে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ। আজ রোববার রাজধানীর তোপখানা রোডে নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানানো হয়।
গণতন্ত্র মঞ্চ বলছে, দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভাজন বাড়ছে, একই সঙ্গে সরকারের সঙ্গেও দূরত্ব বাড়ছে দলগুলোর। এ থেকে উত্তরণে দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে হবে এবং বিভাজনের রাজনীতি পরিহার করতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকেও নিরপেক্ষ অবস্থান ও দায়িত্বশীল ভূমিকা জরুরি।
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানের পর থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ব্যবধান বেড়েছে। এ অবস্থায় সরকারের উচিত হবে এমন ভূমিকা নেওয়া, যাতে কোনো পক্ষের প্রতি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ না ওঠে। একই সঙ্গে গুম, খুন ও নির্যাতনের বিচার, সাংবিধানিক সংস্কার এবং গণতান্ত্রিক নির্বাচনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, সরকারের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক থাকা প্রয়োজন। জাতীয় রাজনৈতিক কাউন্সিল গঠন ও জুলাইয়ের মধ্যে জাতীয় সনদ প্রণয়ন করতে হবে। তিনি বলেন, দ্বিমতের বিষয়গুলো নিরসনে নির্বাচন দরকার, আর সেই নির্বাচনের জন্য সুনির্দিষ্ট সময়সূচিসহ স্পষ্ট রোডম্যাপ প্রয়োজন।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, সরকারের উচিত দলনিরপেক্ষতা বজায় রাখা এবং বিতর্কিত বিষয়ের ক্ষেত্রে প্রয়োজনে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করা। তিনি বলেন, আগামী ৩ থেকে ৭ দিনের মধ্যে বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন বিষয়ে স্পষ্ট ঘোষণা দিতে হবে এবং আগামী এক মাসের মধ্যে সরকারকে দৃশ্যমানভাবে জুলাই সনদ প্রণয়নে পদক্ষেপ নিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু। আরও উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ্ কায়সার, ভাসানী জনশক্তি পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা মেহেদী হাসান তালুকদার তপন প্রমুখ। নেতারা বলেন, জাতীয় সংকট নিরসনে রাজনৈতিক সদিচ্ছা, আন্তরিক সংলাপ ও সমন্বিত পদক্ষেপের কোনো বিকল্প নেই।