ঢাকা, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫: বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার তিস্তা নদীর জলবণ্টন চুক্তি দীর্ঘদিন ধরেই অনিষ্পন্ন। এবার সেই ইস্যুতে কড়া বার্তা দিলেন বাংলাদেশের বিএনপির কার্যনির্বাহী চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি জানিয়েছেন, ভারত যদি বাংলাদেশের ন্যায্য হিস্যা প্রদান না করে বা বিলম্ব ঘটায়, তবে দেশের স্বার্থ রক্ষার জন্য বিকল্প পথ খুঁজতে হবে।
তারেক রহমান মঙ্গলবার এক বক্তব্যে বলেন, “প্রতিবেশী দেশ ভারত যদি তিস্তার পানির ভাগ না দেয় বা চুক্তি করতে অনীহা দেখায়, তাহলে দেশের কৃষি, কৃষক ও নদী রক্ষায় আমাদেরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।” তিনি আরও দাবি করেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে প্রবাহিত ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানির সুষম বণ্টন নিশ্চিত করতে হবে।
তিস্তা চুক্তির পটভূমি
তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরের উদ্যোগ প্রথম নেওয়া হয়েছিল ২০১১ সালে। ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং চুক্তির খসড়া নিয়ে ঢাকায় এসেছিলেন, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তির কারণে চুক্তি সম্পাদিত হয়নি। পরবর্তীতে ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সফরের সময় প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনো তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়িত হয়নি।
তিস্তা নদী বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের রংপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারী ও কুড়িগ্রাম জেলাগুলোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুষ্ক মৌসুমে ভারতের একতরফা পানি প্রত্যাহারের ফলে এ অঞ্চলের কৃষিকাজ ব্যাহত হয়, পানির অভাবে চাষাবাদ ও পরিবেশগত সংকট দেখা দেয়।
বাংলাদেশের দাবি অনুযায়ী, তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিত না হলে কৃষি খাত মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ভারত ২০১৪ সাল থেকে তিস্তার উজানে একাধিক প্রকল্প গড়ে তুলেছে, যার ফলে শীতকালে নদী প্রায় শুকিয়ে যায় এবং বর্ষাকালে অতিরিক্ত পানি ছেড়ে দেওয়ায় বন্যার ঝুঁকি বাড়ে।