তহবিল–সংকটের কারণে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে বসবাসরত প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার শিশুর শিক্ষা কার্যক্রম ঝুঁকিতে পড়েছে। ইউনিসেফ পরিচালিত লার্নিং সেন্টারগুলোর জন্য পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা না থাকায় এসব শিশুর মৌলিক শিক্ষার সুযোগ হারানোর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আজ সোমবার কক্সবাজারে ইউনিসেফের আঞ্চলিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই সংকট তুলে ধরা হয়। ইউনিসেফ কক্সবাজার অফিসের প্রধান অ্যাঞ্জেলা কার্নে জানান, সাম্প্রতিক সময়ে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় পরিচালিত কার্যক্রমে তহবিল উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে, যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে শিশুদের শিক্ষায়। ইউনিসেফের সহায়তায় পরিচালিত শিক্ষাকেন্দ্রে ভর্তি শিশুদের ৮৩ শতাংশ এই সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, চলতি মাসের ৩০ তারিখের মধ্যে ইউনিসেফ পরিচালিত ১ হাজার ১৭৯ স্বেচ্ছাসেবী শিক্ষকের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। অর্থাভাবে নতুন করে তাঁদের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। এই শিক্ষকরা সবাই স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সদস্য। ফলে শুধু রোহিঙ্গা শিশুরাই নয়, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্থানীয় কর্মীরাও।
শুধু বাংলাদেশ নয়, তহবিল সংকটে সিরিয়া, সোমালিয়া, ইথিওপিয়া সহ বিশ্বের বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরেও ইউনিসেফের মানবিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ার পথে বলে উল্লেখ করা হয়। এই সংকট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা ও অংশীদারদের প্রতি সহযোগিতার আহ্বান জানায় ইউনিসেফ।
অ্যাঞ্জেলা কার্নে বলেন, যদি দ্রুত তহবিল পাওয়া যায়, তাহলে শিক্ষাবঞ্চিত এই শিশুরা পুনরায় মানসম্মত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা কার্যক্রমে ফিরে যেতে পারবে। প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউনিসেফ চট্টগ্রাম অফিসের প্রধান মাধূরী ব্যানার্জি এবং কক্সবাজার অফিসের কমিউনিকেশন অফিসার আবিদ আজাদ।
শিক্ষা অধিকার রক্ষায় অবিলম্বে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জরুরি বলে মন্তব্য করেন তাঁরা।