ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রশাসনিক তৎপরতা শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই ঘটনায় সাত সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খানকে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পাঠানো এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন—
- আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ ইকরামুল হক
- সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক তৈয়েবুর রহমান
- হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. সিরাজুল ইসলাম
- ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক মো. আবুল কালাম সরকার
- সহকারী প্রক্টর শারমীন কবির (সদস্যসচিব)
- ডেপুটি রেজিস্ট্রার (তদন্ত) আইয়ুব আলী (সাচিবিক দায়িত্বে)
হত্যাকাণ্ডের পটভূমি
গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে শাহরিয়ার আলম সাম্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত হন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ছিলেন। একই সঙ্গে স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতেন।
ছাত্রদলের ক্ষোভ ও দাবিদাওয়া
এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আজ দুপুরে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভ শেষে ভিসি চত্বরের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ছাত্রদল নেতারা উপাচার্য, প্রক্টর এবং অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেন।
বিক্ষোভে তারা বিভিন্ন স্লোগান দেন, যেমন—
- “দফা এক দাবি এক, ভিসির পদত্যাগ”
- “আমার ভাইয়ের লাশ পড়ে, প্রশাসন কী করে?”
- “নয় মাসে দুই খুন, ভিসি-প্রক্টরের অনেক গুণ”
পরিপ্রেক্ষিত ও প্রশ্ন
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। হত্যার প্রকৃত কারণ ও দোষীদের চিহ্নিত করতে স্বচ্ছ তদন্তের দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে, যা প্রশাসনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।